হাজীগঞ্জে নারীর দায়ের কোপে নারী আহত

নাছিমা নামের এক নারীর দায়ের কোপে মাহমুদা বেগম (৬৫) নামের অপর এক নারী মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। একই ঘটনায় আহত নারীর মেয়েসহ দুই পুত্রবধূ জখম হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১০ জুন ২০২৫) বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের বাখরপাড়া মিজি বাড়ি সংলগ্ন আস্কর বাড়ির সামনে। এ ঘটনায় আহত মাহমুদা বেগমের স্বামী লিয়াকত আলী বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

আহত মাহমুদা বেগম জানান, আমার স্বামী এদিন ঘাটলা মেরামত করার সময় নাকি তার (নাছিমা) হাঁসের পা ভেঙ্গে দিয়েছে। আর এটা নিয়ে সে (নাছিমা) দিনভর আমাদেরকে ইচ্ছেমতো গালমন্দ করেছে। সন্ধ্যার আগে আমি আমাদের বাড়ির সামনে গেলে, আমাকে একা পেয়ে নাছিমা আমার নাকে মুখে ও শরীরে কিলঘুষি শুরু করে। এরপরেই নাছিমার মেয়ে দা নিয়ে আসলে সেই দা দিয়ে নাছিমা নিজে আমার মাথায় কোপ মারে। একই সময় নাছিমার মেয়ের ঘরের নাতনি সানজিদা আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন মুঠ করে টান মেরে নিয়ে যায়। এ সময় আমার ডাকচিৎকার শুনে আমার পুত্রবধূ শারমিন, মাহিনুর ও মেয়ে সাযরা এগিয়ে আসলে তারাও আহত হয়। এমনকি আমাকে মারধরের পর আমার অনেক কাঁঠালের চারা কেটে ফেলেছে নাছিমা নিজে।

এ ঘটনার পরেই মাহমুদাকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার মাথাতে সেলাই দেয়া হয়। কিডনী রোগী মাহমুদার অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাতেই মাহমুদার স্বামী বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অপরদিকে অভিযুক্ত নাছিমা বেগম উল্টা দাবি করে বলেন, আমার হাঁসের পা ভেঙ্গে ফেলেছে। সেটা নিয়ে আমি কথা বলাতে তারা (মাহমুদা) সবাই মিলে আমাকে আমার মেয়ে ও নাতনিকে মারধর করেছে, এমনকি তাদের দায়ের আঘাতে তারাই আহত হয়েছে। তাদের সাথে আমার সম্পত্তিগত বিরোধের সূত্র ধরে এমনটি করা হচ্ছে আমার সাথে। তবে নাছিমার অভিযোগের কারণে তাৎক্ষণিক উপস্থিত একাধিক যুবক জানান, তাদের সম্পত্তিগত বিরোধ বহু আগেই ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সমাধান করে দেয়া হয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্যে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া