প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮:২৫
চাকুরি দেয়ার নামে কৃষকের টাকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের টালবাহানা !
মেয়েকে চাকুরি দেয়ার নাম করে নেয়া দুই লাখ টাকা ফেরত পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে হাজীগঞ্জের বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আ রহিম ভূইয়া। ২০১৮ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী এ টাকা নিয়েছেন বলে আ: রহিম জানিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার কাছে পুরাতন টিনের ঘর বিক্রির টাকা আমি পাওনা আছি। আ. রহিম গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত নুরুল হক ভূইয়ার ছেলে।
|আরো খবর
আব্দুর রহিম ভুইয়া জানান, তিন মেয়ের জনক তিনি। সারাটা জীবন কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বড় মেয়েকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি জন্য চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজীর সাথে ২০১৮ সালে ৫ লাখ টাকা দেবার জন্য আমাকে বলেন। এরপর আমি দেনা করে ২ লাখ টাকা চেয়ারম্যানেরর হাতে তুলে দেই।
তর্তি ও লিখিত পরীক্ষার মেয়ে টিকেনি আর চাকুরী না হওয়ায় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টাকা ফেরত পেতে বারবার ধর্ণা দেই। কিন্তু চেয়ারম্যান টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন।
কান্নাজড়িত কন্ঠে আ: রহিম আরো বলেন, আমি অন্যের কাছ থেকে সুদে টাকা এনে চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজীকে ২ লাখ টাকা দিয়েছি। এর মধ্যে আমি মেয়ের বিয়েও দিয়েছি। এখন আমি সেই টাকার ঋণগ্রস্ত।
এ দিকে পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষে চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজীকে উকিল নোটিশও দেন আব্দুর রহিম ভুঁইয়া। তিনি ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর চাঁদপুর জজকোর্টের এডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ফরাজীর মাধ্যমে এই উকিল নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে বলা হয়, চেয়ারম্যান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য আব্দুর রহিম ভুইয়ার কাছ থেকে ২০১৮ সালের ১৮ মে ২ লাখ টাকা হাওলাত নেন।
পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়ের পর টাকা পরিশোধ না করে দেই-দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করেন চেয়ারম্যান। এরপর ২০১৯ সালের পহেলা অক্টোবর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আব্দুর রহিম ভুইয়া টাকা চাহিলে চেয়ার্ম্যান টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
আব্দুর রহিমের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী। তিনি বলেন, আমার একটি পুরানো বসতঘর ১লাখ ৫০ হাজার টাকা আব্দুর রহিমের মাধ্যমে তার জামাতার (মেযের স্বামী) কাছে বিক্রি করি। পরে ঘর বিক্রি বাবদ সে নগদ ৫০ হাজার এবং তার বেয়াই ও জামাতা ৮০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আমাকে পরিশোধ করে। ঘর বিক্রির বাকী টাকা এখনো সে আমাকে দেয়নি।
অপর এক প্রশ্নে মনির হোসেন গাজী আরো বলেন, পাওনা টাকা চাইতে গেলে আব্দুর রহিমের সাথে আমার বাকবিতন্ডা হয়। যার স্বাক্ষী তার বেয়াই ও জামাতা। তাছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে তার প্রতিপক্ষরা আব্দুর রহিমকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করানোর বৃথা চেষ্টা করছে।