প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:০১
কচুয়ায় আবারো দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত : ডাকাত আতঙ্কে কচুয়াবাসী
কচুয়ায় ৪ দিনের ব্যবধানে আবারো ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গোহট ইউনিয়নের নাউলা গ্রামে চাউল ব্যবসায়ী মান্নানের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
|আরো খবর
সরেজমিনে গেলে ক্ষতিগ্রস্থ চাউল ব্যবসায়ী মান্নান জানান, সোমবার গভীর রাতে ২০/২৫ জনের মুখশধারী ডাকাত দল প্রথমে আমার ছোট ভাই আব্দুল কাদেরের গৃহের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে অস্ত্রের মুখে ঘরের জিম্মি করে লোকজনদেরকে মারধর করে আলমিরা, সুকেসসহ অন্যান্য আসবাব পত্র ভাংচুর করে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও প্রায় দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়।
পরে তারা আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে গৃহে প্রবেশ করে একই কায়দায় গৃহের লোকজনদেরকে জিম্মি করে আলমিরা, ওয়ারড্রপ ও সুকেস ভাংচুর করে নগদ ১৮ হাজার টাকা, ২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকারসহ ও ২টি স্মার্ট ফোন লুটে নেয়। তিনি আরো জানান, ডাকাতদের ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির কারণে আমার বৃদ্ধ মা শামসুন্নাহার হার্ট স্টোক করে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া আমাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা ভীতস্থ হয়ে বাকরুদ্ধ।
এ ব্যাপারে গোহট উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজ খবর নিয়েছি। ডাকাতদের তান্ডব লীলায় ওই বাড়ির লোকজনরা খুবই আতংকিত হয়ে আছে। তাদের কেউ কেউ এখনো বাকরুদ্ধ। এ ধরনের ডাকাতিতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিনের নিকট ডাকাতির হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাউলা গ্রামে মান্নানের বাড়িতে ডাকাতি হওয়ার বিষয়টি কেউ অবগত করায়নি। আপনার কাছ থেকে শুনে এখনি খোঁজ খবর নিচ্ছি।
এদিকে গত শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার আশ্রাফপুর গ্রামের মাহমুদা চৌধুরির বাড়িতে ও আমুজান গ্রামের ডা. রুবেল তালুকদারের বাড়িতে দুটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ডাকাতিতেও ডাকাত দল গৃহের লোকজনদেরকে মারধরসহ ভাংচুর করে ব্যপক তান্ডব লীলা চালায়। ওই দুই বাড়ি থেকে লুটে নেয় নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও ২৫ ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার। পরপর এ সব ডাকাতির ঘটনায় কচুয়ার জনগণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।