প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩:০৭
বাকিলায় চুরিতে নাস্তানাবুদ ব্যবসায়ীরা
একের পর এক চুরির ঘটনায় হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজার ব্যবসায়ীরা নাস্তানাবুদ হয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত রাতে আলোয়ার হোসেন কালুর দোকানের চালের টিন কেটে শতাধিক মোবাইলসহ নগদ লক্ষাধিক নগদ টাকা চুরি হয়ে যায়। এর মাত্র ৩ মাস আগে একই ব্যবসায়ীর দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
|আরো খবর
গত ১৫ দিন আগে মধ্য বাজার থেকে মামুন নামের এক ব্যবসায়ীর ২২ ব্যারেল তেল চুরি হয়। এ ঘটনায় মামুন থানায় অভিযোগ দিলেও কোন চোর আটক বা মালের হদিস মেলেনি। এতে করে ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ দিন দিন পুঞ্জীভুত হচ্ছে।
ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাকিলা বাজারে যত চুরির ঘটনা ঘটেছে তার কোনটিরই সুরাহা হয়নি। সর্বশেষ গত রোববার দিনগত রাতে বাকিলা বাজারের বিকাশ ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেন কালুর দোকানের টিনের চাল কেটে দোকানে ডুকে চোরের দল। এ সময় প্রায় শতাধিক মোবাইল ফোন, ১ লক্ষ নগদ টাকা নিয়ে যায় চোরের দল। এর আগে প্রায় ৩ মাসে আগে একই দোকানে চুরি হয়ে বৈদ্যুতিক তারের ক্যাবল,মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে যায় চোরের দল। তারও আগে গত বছর একই দোকানে চুরি হয়ে মোবাইলসহ বিকাশের সিম নিয়ে যায় চোরের দল। সে সময় এই ব্যাবসায়ী সাধারন ডায়েরি করেছেন।
গত সপ্তাহে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে খোলা তৈল ব্যবসায়ী মনির নামাজ পড়তে গেলে তার ক্যাশ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়। একই দিন জুস্মা নামাজের সময় সন্না সড়কে কাঠ ব্যবসায়ী আবু গাজির নগদ টাকা ও মোবাইল ফোর চুরি হয়। গত প্রায় ১৫ দিন আগে মধ্য বাজারে সাত্তার ষ্টোরের মালিক মামুন মিজির চট্টগ্রাম থেকে আসা ২২ ব্যারেল সয়াবিন তেলের ড্রাম চুরি হয়ে যায়। এতে করে মামুন মিজির প্রায় ৭ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় সেই সময় মামুন মিজি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
কিছুদিন আগে বাকিলা গরুর বাজার সংলগ্ন নেপালের হলদি-মরিচ ভাঙ্গানোর দোকান থেকে মরিচের বড় বস্তা চুরি হয়ে যায়। চুরি যাওয়া সেই মরিচ শাহতলী এলাকা থেকে উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী। গত বছর বাজারের শৈলি গার্মেন্টে টিনের চাল কেটে নগদ টাকাসহ মালামাল চুরি হয়। সেই ঘটনায় এই ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন কিন্তু কোন চোর আটক বা মালামাল উদ্ধার হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বাকিলা বাজার এমন এক বাজার যেখানে পেশিশক্তির প্রাধাম্য অনেক বেশি। বাজারের ফুটপাথ পুরোটাই দখল করে টংদোকান তুলে ভাড়া দিচ্ছে একটি চক্র। সরকারি খাস জমিতে দোকান ঘর তুলে ভাড়া দিচ্ছে আরেকটি অপশক্তি। মাছ বাজার,তরকারি বাজার,মধ্য বাজার ময়লা আবর্জনায় ঠাসা। ইজারার গলি দখল করে স্থায়ী,অস্থায়ী দোকান তুলে ব্যবসা করেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। স্কুল গেটের উল্টা পাশে সড়কের উপর ময়লা আবর্জনা জমে থাকে।
এ বিষয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী জানান,বাজারে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় নৈশ প্রহরী বাদ দেয়া হয়েছে। এখন থেকে ব্যাবসায়ীরা ভাগ ভাগ হয়ে পাহারা দিবে। নৈশ প্রহরী থাকাবস্থায় ৬০ ভাগ ব্যবসায়ী প্রহরীদের টাকা দিতো না।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, চুরির খবর পেয়ে ওসি তদন্তসহ অফিসার পাঠানো হয়েছে। তারা আসলে ঘটনা শুনে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।