প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:১৫
কোভিড টিকার ওপিটি নাম্বারের নামে জালিয়াতির কৌশল
কথায় আছে আইন যতো কঠোর হয়, জালিয়াত চক্র ততো কৌশলী হয়। যার জলন্ত প্রমাণ কোভিড টিকার ওপিটি নাম্বার নেয়ার নাম করে মুঠোফোনে অনলাইন ব্যাকিংয়ের গোপন নম্বার হাতিয়ে নেয়ার অপকৌশলে লিপ্ত রয়েছে।
|আরো খবর
এই রকম এক প্রতারণা শিকার থেকে বেঁচে গেছেন নারায়ৱণগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা রেজাউল করিম। নিজে ধোঁকা থেকে বেঁচে গিয়ে নিজের ফেইজবুকে এ বিষয়ে একটি সতর্কতামূলক পোষ্ট দেন। যা এই কর্মকর্তার তার নিজের ফেইজবুকের টাইমলাইনে তুলে ধরেন। যা নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো।
সতর্কীকরণ পোস্ট : গতকাল প্রায় দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলো। ফোন তুলতেই একটি আপু জানালো- খুব দুঃখিত ভাইয়া, আমি অনলাইনে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করছিলাম, ভুল করে আমার মোবাইল নাম্বারটার জায়গায় আপনার নাম্বারটা দেওয়া হয়ে গেছে। কারণ, আপনার আর আমার মোবাইল নাম্বারটায় অনেক মিল আছে। তাই ভুল করে ফেলেছি। একটু পরেই আপনার মোবাইলে একটা ওটিপি আসবে, প্লিজ ওটা মেসেজ বা রিং করে দেবেন? নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে আবার ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।
আমার মোবাইলে একটু পরেই একটা ওটিপি এলো। সাথে সাথে অন্য আরেকটা নাম্বার থেকে আবার সেই ফোন- ভাইয়া ওটিপি টা এসেছে, প্লিজ আমাকে জানান। আমি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বললাম যে নাম্বারটা আমার মত সেটা থেকে একটা কল করুন! জবাব এলো- ঐ নাম্বারটায় একদম ব্যালেন্স নেই, তাই এই নাম্বার থেকে কল করছি।
পরক্ষণেই আমার মোবাইলে ব্যাংকের মেসেজ এলো- "আপনি কি আপনার নেট ব্যাংকিং এর পাসওয়ার্ড চেন্জ এর জন্য রিকোয়েস্ট করেছেন? তাহলে পাঠানো ওটিপি টা ব্যাবহার করুন, রিকোয়েস্ট না করে থাকলে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন"।
মাথা গরম হয়ে গেলো। সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় নাম্বারে ফোন করলাম, জবাব এলো- সার্ভিস এরিয়ার বাইরে তাই যোগাযোগ সম্ভব নয়।
এটা একটা নতুনভাবে ব্যাংক জালিয়াতির প্রচেষ্টা। আমি দু'টো নাম্বারই ব্যাংকে জানিয়ে দিয়েছি। তাই, সবার কাছে অনুরোধ এই খবরটা যতোজনকে পারেন ফরোয়ার্ড করুন ও নিরাপদে থাকুন, ধন্যবাদ।