বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২১, ২০:৪৫

হরিণা ঘাটে দীর্ঘ হচ্ছে ফেরি পারাপারে গাড়ির সিরিয়াল

মিজানুর রহমান
চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌপথে ফেরি সঙ্কট

পরপর চার দফায় পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার পর সেখানে ফেরি চলাচলে রুট নির্ধারণ এবং সীমিত ফেরি চলাচল করায় চাঁদপুর হরিণা ও শরীয়তপুর ফেরিঘাটে গাড়ির চাপ দ্বিগুণ বৃদ্বি পেয়েছে। এ কারণে চাঁদপুর হরিণা ঘাটে আটকা পড়েছে প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী গাড়ি। যদিও ব্যক্তিগত, যাত্রীবাহী ও ছোট ছোট যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপারের সুযোগ দিচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫টি পরিবহনের বাস এখন এই রোডে ফেরি পারাপার হচ্ছে। আগে এখান দিয়ে ফেরি পার হত ৩৫ থেকে ৪০টি পরিবহন বাস। অন্যান্য গাড়ির চাপ তো রয়েছেই।

চালকদের দাবি পর্যাপ্ত ফেরি না থাকায় ৩-৪ দিন পর্যন্ত এখানেই পড়ে থাকতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পণ্যবাহী গাড়ির চালকরা। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে এ ঘাটে আরও ফেরি প্রয়োজন বলে দাবি তাদের।

লকডাউন শিথিলের পর প্রতিদিনই প্রায় ৭০০ গাড়ি এ ঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে এ ঘাটে যানবাহনের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জনবল আর ফেরি দেয়া হলেই কেবল স্বাভাবিক পারাপার সম্ভব।

সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ সারি না থাকলেও পার্কিং ইয়ার্ডে প্রায় চারশতাধিক গাড়ি পড়ে রয়েছে। কেউ তিনদিন আবার কেউ চারদিন ধরে অপেক্ষা করছেন নদী পারের। চালক ও সহকারীদের দাবি তাদের জন্য থাকা-খাওয়া, টয়লেট, গোসলসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা না থাকায় চরম ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে। যদিও বর্তমানে চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটে ছয়টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। তবে যানবাহন হিসেবে আরও দুটি ফেরি প্রয়োজন বলে মনে করছেন ঘাট কর্তৃপক্ষের।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) হরিনা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) আব্দুল্লাহ নুর তুষার বলেন, বর্তমানে চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌপথে ফেরিসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ৫টির স্থলে ছোট-বড় মিলে ৭টি ফেরি চলছে। নতুন করে ফেরি কাকলী দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাওয়া ঘাটে ফেরি ও গাড়ি চলাচল সীমিত করায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদপুর হরিণা ঘাটে প্রায় আড়াই'শ থেকে ৩শ’ এবং শরীয়তপুর ফেরিঘাটে একই পরিমাণ গাড়ি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়