ফরিদগঞ্জে গরু চোরচক্রকে ধরিয়ে দিলেন কার চালক

নিজের জীবন বিপন্ন করে গরু চোরচক্রকে ধরিয়ে দিয়ছেন প্রাইভেট কার চালক আব্দুল মান্নান। গরু চুরি করে গাড়ী যোগে পালিয়ে যাওয়া দেখে নিজে প্রাইভেট কার নিয়ে গরু বোঝাই গাড়ী সামনে গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টার সময় চোরচক্রের গাড়ীর আঘাতে গুরুতর আহত হয় সে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

এদিকে চোরচক্রের গরু বোঝাই পিকআপ চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণ ধানুয়া ভেট কারটিকে চাপা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩৩ কেভি লাইনের বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দিলে খুঁটি ভেঙ্গে ফরিদগঞ্জ এবং হাইমচর উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা প্রায় ১৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে চাঁদপুর সদর উপজেলার আলিমপাড়ার ওলী আহমদের ছেলে ইকবাল (৩০), হাজীগঞ্জ উপজেলার ইসমাইল (২৮), ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুমন এবং এ সকল উপজেলার রাসেল, কালু, শুভ সহ সংঘবদ্ধ একটি চোরচক্র ৫টি গরু চুরি করে পিকআপে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লোকমান রাঢ়ীর ৪টি গরু এবং ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চরকুমিরা গ্রামের কালু ছৈয়ালের একটি গরু ছিল।

গরু নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় কালু ছৈলের পরিবারের লোকজন টের পেলে তারা ডাক চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকার শুনে যাত্রী নামিয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফেরা কারচালক আব্দুল মান্নান তাৎক্ষণিক কার নিয়ে গরু বোঝাই পিকআপটিকে ধাওয়া করেন। দক্ষিণ ধানুয়ার চাঁন বাড়িয়া এলাকায় পৌঁছলে পিকআপটিকে ব্যারিকেট দেন আব্দুল মান্নান। এ সময় পিকআপটি তার প্রাইভেট কারটিকে পিষে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে ৩৩ কেভি লাইনের বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দিলে সমগ্র উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পরে গুরুতর আহত চালক আব্দুল মান্নানের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে ইকবাল এবং ইসমাইল নামে দুই চোরকে আটক করে স্থানীয় জনগণ। এ সময় চোরচক্রের অপর সদস্যরা পালিয়ে যায়। আহত আব্দুল মান্নান গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে বুধবার বিকেল ৪টার পর স্বাভাবিক হয় ফরিদগঞ্জ ও হাইমচরের বিদ্যু ব্যবস্থা।

এই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫টি গরু, চুরির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ এবং চোরচক্রের দুই সদস্যকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন।