প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২০
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক
বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ত্যাগ না হলে আমরা পৃথিবীর আনন্দ পেতাম না

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুর ক্লাবে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
|আরো খবর
অনুষ্ঠানের শুরুতে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩১৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম সরকার।
সভাপতিত্ব করেন
ডিডিএলজি ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. রবিউল হাসান।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএমএন জামিউল হিকমা'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুননাহার চৌধুরী, প্রবীণ রাজনীতিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার,
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল আলম রব, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী হাশেম, সদস্য সচিব মো. মুজিবুর রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম বরকান্দাজ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল চাঁদপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম চিশতী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার, অজিত সাহা, ছানাউল্লাহ খান, শহীদ ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। এ স্বাধীনতার পেছনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অপরিসীম। সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, চাঁদপুরে আজকের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সবচেয়ে বড়ো এবং অন্যতম অনুষ্ঠান হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। এ আয়োজন উপজেলাগুলোতেও হচ্ছে। কারণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের ত্যাগ না হলে আজকে আমরা পৃথিবীর আনন্দ পেতাম না। বিজয়ের আনন্দ বয়ে যাক বাংলার প্রতিটি ঘরে। চাঁদপুর হোক সুন্দরের আধার এবং সেই আধার জ্বলে উঠুক আগামীর সুন্দর পৃথিবীর দিকে। সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
আলোচনা সভাশেষে অতিথিরা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদগণের স্মৃতির উদ্দেশ্যে চাঁদপুর শহরের লেকের পাড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য 'অঙ্গীকার' প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। ভোর সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তর, প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে 'অঙ্গীকার' বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।








