প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৩৪
জুলাই-আগস্ট মামলার আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে?

চাঁদপুরে জুলাই-আগস্টের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন দমানোর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিরা এখনো অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রশাসন যেন নীরব! ফলে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও সচেতন মহলে আলোচনা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
|আরো খবর
জানা যায়, জুলাই-আগস্টের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় চাঁদপুরে এ পর্যন্ত ৪/৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় কয়েকশ’ এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছে। কিন্তু এসব আসামির তেমন কেউই এখনো আটক হয়নি।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, চাঁদপুরে এজাহারভুক্ত আসামি যতোটা গ্রেপ্তার হয়, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি আটক হয় সন্দেহভাজন হিসেবে। এ যাবতকালে যতো আটক হয়েছে, তার মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা হবে মাত্র ২০% আর বাকি ৮০% হলো সন্দেহভাজন। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে অনেকেই সরকারি চাকরিসহ বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেমন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়ি পোড়ানোর মামলায় চাঁদপুর পৌরসভার ৩ জন স্টাফ রয়েছে। তারা নিয়মিত অফিস করছে প্রশাসকের অধীনে, অথচ পুলিশ তাদের আটক করছে না।
এছাড়াও যেমন—জিআর ৬৩০/২৪, চাঁদপুর মডেল থানার মামলা নম্বর ২০, তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ধারা ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬ এবং তৎসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪ ধারা। এই মামলার এজাহারভুক্ত ১৭ নম্বর আসামি তাজুল ইসলাম, পিতা সিরাজুল ইসলাম, ঠিকানা মনোহরখাদী, জেলা ও উপজেলা চাঁদপুর—তিনি এখনো চাঁদপুর পৌরসভার একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহাল তবিয়তে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত এই শিক্ষক ৪ আগস্ট ২০২৪ চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডের তাণ্ডবের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তার ভাই টিপু ও সাবেক মেয়র জুয়েলের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।