বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ১৫:৩০

গল্লাক কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে নদী ও খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করলো

প্রবীর চক্রবর্তী।।
গল্লাক কলেজের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে নদী ও খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করলো
ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গল্লাক বাজারস্থ নদী ও বোরোপিট খালে স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করছেন ইউএনও সুলতানা রাজিয়া । পাশে গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজ শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কার করছে।

ফরিদগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এককালের প্রমত্তা ডাকাতিয়া নদী আজ দখল-দূষণের সাথে সাথে কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে মরা নদীতে পরিণত হওয়ার অবস্থায় পৌঁছেছে। সেই নদীকে বাঁচাতে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সিআইপি কৃষক সংগ্রাম কমিটি চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের সহযোগিতায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতিয়া নদী, বোরোপিট খাল থেকে কচুরিপানা পরিষ্কারকরণের কাজ শুরু করা হয়। এবার সেই উদ্যোগে এগিয়ে আসলো ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা স্বেচ্ছাশ্রমে ডাকাতিয়া নদী ও বোরোপিট খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করলো।

বুধবার (২ জুলাই ২০২৫) সকালে গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গল্লাক বাজারস্থ নদী ও বোরোপিট খালে স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা পরিষ্কারকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাস, সিআইপি কৃষক সংগ্রাম কমিটি চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর কমিটির সদস্য রহিমা কলি।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ডাকাতিয়া নদী আমাদের গর্ব। কিন্তু সেই নদী এভাবে দখল-দূষণের সাথে সাথে কচুরিপানার কারণে হারিয়ে যাবে, তা আমরা মেনে নিতে পারিনি বলেই আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে ডাকাতিয়া নদী ও বোরোপিট খালের এইদিকের অংশ সম্পূর্ণ কচুরিপানামুক্ত করতে শুরু করেছি। আমরা আশা করছি, শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, নদী ব্যবহার করে এমন সকলে এগিয়ে আসলে আমাদের আর নদী ও খালের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধের কারণে নাক টিপে যেতে হবে না।

গল্লাক আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাস জানান, কলেজের শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এই বিষয়টি জানালে তাদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানাই। তারা আজ থেকে কাজ শুরু করেছে। এই মহতী উদ্যোগে আমরা সামিল হতে পেরে আনন্দিত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কচুরিপানা পরিষ্কারে নেমেছে গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থী। স্বেচ্ছাশ্রমে তাদের আনন্দ, উচ্ছ্বাস এবং আগ্রহ আমাকে অভিভূত করেছে। এভাবে যদি লোকজন এগিয়ে আসে, তবে ফরিদগঞ্জের অনেক ভাল কাজ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, ফরিদগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নদী ও খালের সমস্যা শুনেই আসছিলাম। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতায় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড এগিয়ে আসায় আমরা ফরিদগঞ্জে ইতোমধ্যেই অনেক খাল খনন করতে সক্ষম হয়েছি। ২০২৫-২৬ অর্থ বছরেও আমরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়