বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫, ২৩:০৭

ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় ৫ ঘন্টা বিলম্বে চাঁদপুর পৌঁছলো আন্তঃনগর মেঘনা

দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার॥
দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ

চাঁদপুর-লাকসাম ও চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী আন্তঃনগর মেঘনা ট্রেনটি মঙ্গলবার (২০ মে ২০২৫) বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে চাঁদপুর আসার পূর্বে ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এতে করে ট্রেনটি ফেনীর অদূরে চিনকি আস্তানা নামক স্টেশনে থেমে যায়। এতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের শত শত যাত্রী ঘটনাস্থলে আটকা পড়ে। ৫ ঘন্টা ট্রেনের মধ্যে থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এসব যাত্রী প্রায় ৫ ঘন্টা বিলম্বে চাঁদপুর স্টেশনে ও চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে পৌঁছলেও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকার নৌযান না পেয়ে তারা তাদের গন্তব্যে যেতে পারেনি। তারা দিনভর চাঁদপুরে খুবই বিড়ম্বনার মধ্যে থেকে দিনাতিপাত করতে হয়েছে।

চার শতাধিক যাত্রী মঙ্গলবার দিবাগত রাত (২১মে ২০২৫) ২টা থেকে পরদিন বুধবার দিনভর প্রায় ২০ ঘন্টা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনে ও নৌ-টার্মিনালে। এদের মধ্যে বেশি দুর্ভোগে পড়ে শিশু, বৃদ্ধ ও নারী যাত্রীরা। এসব যাত্রী খাদ্যাভাবে ও বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এদের সহায়তার জন্যে রেলওয়ে, নৌ-টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর পৌরসভা থেকে কোনো প্রকার সহায়তা করা হয়নি। এ সব আটকেপড়া যাত্রী বুধবার ঢাকা সদরঘাট থেকে বিকেলে ছেড়ে আসা নৌ-যানে রাত ১০ হতে ১১টার মধ্যে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল থেকে উঠে এবং তাদের গন্তব্যে রওনা দেয়।

চাঁদপুর রেলওয়ে বড় স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন ও ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে নির্ধারিত সময়ে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে চাঁদপুরগামী আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি পৌনে এক ঘন্টা রেলপথ অতিক্রম করার পর চিনকি আস্তানা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় ট্রেনে থাকা কয়েকশ' যাত্রী আটকা পড়ে। পরে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে রেলওয়ের ইঞ্জিন ঠিক করার মেকানিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শুরু করে। বিকল্প ইঞ্জিন ব্যবস্থা না থাকায় রাত ১১টা অর্থাৎ ৫ ঘন্টা সময় লেগে যায় ইঞ্জিন ঠিক করতে। ইঞ্জিন সচল হলে ট্রেনটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে রাত ১১টায়--এমনটি চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার মারুফ হোসেন জানান। যাত্রীদের অভিযোগ, এই দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেনে আটকে থাকলেও রেলওয়ের কোনো কর্মচারী এ বিষয়ে যাত্রীদের সঠিক কোনো তথ্য দেননি কখন ট্রেন ছাড়বে। তবে ট্রেনে পর্যাপ্ত আলো থাকায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে বলে রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার ইমাম হোসেন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্মকর্তা বশির আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে বন্দর থেকে কেউ জানায়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়