প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৫
দেড় কোটি টাকার সোয়া কিলোমিটার সড়কের কাজ বন্ধ আড়াই বছর

দেড় কোটি টাকা বরাদ্দের প্রায় সোয়া কিলোমিটার সড়কের পাকাকরণ কাজ শেষ হয়নি গত আড়াই বছরে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে কাজ না করা ও আসছে বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়দের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সড়কটিতে চলাচলকারীরা । ঠিকাদার বলছেন আসছে ২০ তারিখে কাজ ধরবেন।
হাজীগঞ্জের ৫নং সদর ইউনিয়নের সালামত উল্যা মেম্বারের দোকান থেকে পাশের মৈশাইদ মিজি বাড়ির সামনে পর্যন্ত ১.৩ কিলোমিটার সড়কের অবস্থান। প্রায় আড়াই বছরেও শেষ করা হয়নি সড়কটির পাকাকরণের কাজ। যা নির্মাণে রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হাজীগঞ্জ অফিস।
ঠিকাদার সূত্রে জানা যায়, মাটির রাস্তা পাকাকরণের কাজ, যার ব্যয় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা প্রায়। ১.৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাকাকরণের কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে বহু আগে।
সরজমিনে দেখা যায়, ৫নং সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর সালামত উল্যা মেম্বারের দোকানের সামনে থেকে শুরু হয়ে মৈশাইদ মিজি বাড়ির সামনে প্রায় সোয়া কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি পাকাকরণের কাজ শুরু করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহতাব উদ্দিন সবুজ। মেকাডম করেই ফেলে রাখা হয়েছে কাজটি। এজিন ও কার্পেটিংসহ বাকি না করার কারণে বহুস্থানে মেকাডম ধুয়ে সড়কের পাশে খালে নেমে সড়কে তৈরি হয়েছে বড়ো বড়ো গর্তের।
স্থানীয় মুলুকচান সর্দার বাড়ির লোকমান হোসেন জানান, প্রায় তিন বছর ধরে এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে পাকাকরণের কাজটি।
সুবিদপুর কাজী বাড়ির কাজী মো. নুরুল ইসলাম জানান, সড়কটির অবস্থা এমন হয়েছে, বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়িতে না ওঠা পর্যন্ত পায়ে হেঁটে যেতে হয়।
সুবিদপুর বেপারী বাড়ির আরিফুর রহমান জানান, সড়কটি দিয়ে ৩/৪ গ্রামের সাধারণ লোকজনসহ কয়েকশ’ শিক্ষার্থী স্কুল কলেজে যেতে হয়, সড়কের কাজ শেষ না করাতে সংশ্লিষ্ট সকলের চলাফেরাতে ব্যাঘাত ঘটে।
বেপারী বাড়ির আজাদ বেপারী জানান, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ কলেজে পড়ুয়া বাচ্চারা সড়কটি ব্যবহার করে। কাজ শেষ না করা হলে আসছে বর্ষা মৌসুমে কী হবে জানি না।
মজুমদার বাড়ির স্বপন মজুমদার কোন্ কারণে এতোদিন ধরে কাজটি ফেলে রাখা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য হয় না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সালামত উল্যাহ সর্দার জানান, আড়াই বছর ধরে পাকাকরণের কাজ পড়ে রয়েছে, ঠিকাদার কাজ শেষ না করার কারণে জনভোগান্তি চরমে উঠেছে।
ঠিকাদার মাহতাব উদ্দিন সবুজ জানান, এজিন আর কার্পেটিং বাকি রয়েছে, আসছে ২০ মে'র মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক জানান, বিষয়টি আমি এতোদিন জানতাম না, খোঁজ নিয়ে কাজ করানো হবে।