প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ২১:০৬
নববর্ষের প্রথম দিনে হাইমচরে দোকানপাটে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট

হাইমচরের বাংলা বাজারে নতুন বছরের সূর্য উঠতেই দোকানপাটে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে থানায়। পয়লা বৈশাখে (বছরের প্রথম দিনে) দোকান খুলে বেচাকেনায় বসতে না বসতেই এই হামলা ও লুটপাট করে একদল দুর্বৃত্তকারী। সোমবার (১৪ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরে হাইমচরের বাংলা বাজারে গেলে এই হামলার চিত্র দেখা যায়।
ভুক্তভোগীরা জানান, বাংলাবাজারের বেশিরভাগ বড়ো বড়ো দোকানই আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার আড়ত। প্রতিদিন সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার হয়। সেই লোভ সামলাতে না পেরে দোকান দখলে মরিয়া হয়ে এই ভাংচুর চালিয়ে নগদ অর্থসহ ২০-২৫ লক্ষাধিক টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি করে দুর্বৃত্তরা। এখন শুধুই লুটপাট হওয়া দোকানের ধ্বংসের চিহ্ন রয়েছে।
বাংলা বাজারের ভুক্তভোগী শাহজাহান ভূঁইয়া বলেন, আমি আলু, পেঁয়াজ রসুন, আদার আড়তদারি করি। এটিই আমার সংসারের আয়ের উৎস। ১৯৯৪ সাল থেকেই এখানেই দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। ব্যবসায়িক স্থানটি মূলত পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তার পাশের জায়গা। বর্তমানে ব্যবসায়িক স্থানটি অনেক জমজমাট হওয়ায় দুষ্কৃতকারীরা আমার এই দোকান দখলে নেওয়ার পাঁয়তারায় ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। সকালের সূর্য ওঠার পরপরই দোকানে হামলা ভাংচুর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমি এখন নিঃস্ব।
হাবিব, শাহআলম, হাসমতসহ আরো অনেকে বলেন, আমরা দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সংসার চালাই। পরিবারের অবলম্বন হিসেবে এই দোকানে কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করছি। আজ (সোমবার) সকালে দোকান খোলার পরপরই হঠাৎ করে ৫০-৬০ জনের সন্ত্রাসী এসে দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ অর্থসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বড়ো বড়ো হাতুড়ি দিয়ে দোকানটি ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের আড়তদারির দোকানই ছিলো আমাদের জীবিকার মূল সম্বল। আধিপত্য বিস্তার করে দোকানের জায়গা দখলে নেওয়ার জন্যেই এই হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তের দল। আমরা এদের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সুমন বলেন, ভাংচুরের ঘটনার সংবাদ পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।