প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৫, ১৭:৪৭
আবহাওয়া পরিবর্তন : কচুয়ায় মানুষের পাশাপাশি ফসলে রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি

কচুয়ায় হঠাৎ আবহাওয়া পরির্বতনের ফলে দিনের বেলায় গরম ও রাতের বেলায় ঠাণ্ডাজনিত কারণে মানুষের রোগব্যাধির পাশাপাশি কৃষি জমিতে বিভিন্ন ফসলেও রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রমজানের শুরু থেকে দিনের বেলায় গরম ও রাতে ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় রোগের প্রবণতা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। মধ্যরাতের পর থেকে হাড়কাঁপুনে ঠাণ্ডা শুরু হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে শিশু ও বয়স্ক মানুষের মাঝে সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগের মাত্রা বেড়ে গেছে।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. সোহেল রানা বলেন, আকস্মিকভাবে দিনে গরম ও রাতে ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রাতে ঠাণ্ডার প্রকোপ কমে আসলে এসব রোগও কমে আসবে।
এদিকে শেষ রাত থেকে শুরু হয় ঘন কুয়াশা। যার কারণে ক্ষতি হচ্ছে ধানক্ষেত। ধানক্ষেতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত রোগের কারণে ধান গাছের পাতা জ্বলছে ও লাল রঙ হয়ে যাচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। অন্যদিকে বিনষ্ট হচ্ছে আমের মুকুল, ঝরে পড়ে গুটি আম। ব্যাপক হারে গুটি আম ঝরে পড়ায় আম চাষীরাও হতাশ হয়ে পড়েছে।
গুটি আম ঝরে পড়া রোধ করতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, প্লানোফিক্স বা মিরাকুলান প্রতি লিটার পানিতে ১ মি.লি. করে স্প্রে ও পাশাপাশি ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে। তাছাড়া ধানের জমিতে ব্লাস্ট ও বিএলবি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ট্রাইসাইক্লাজল ও কাসুগামাইসিন গ্রুপের ওষুধ ধানের জমিতে স্প্রে করলে সুফল পাওয়া যাবে।