প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৮
স্থানীয় সরকারের পরেই যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিন
......জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান

স্থানীয় সরকারের পরেই যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিন। হাজীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত পথসভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকেলে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ বিশ্বরোডে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ ও পৌরসভার সেবা দিচ্ছেন প্রশাসকরা। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায় নেই। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন অভিভাবকশূন্য, জনপ্রতিনিধি ও সেবক শূন্য। তাই আমরা বলছি, জনদুর্ভোগ নিরসনের জন্যে তাড়াতাড়ি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিন। এসব নির্বাচন হলে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে। তারপর অবশ্যই যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে মৌলিক কিছু সংস্কার জনগণ চায়।
তিনি আরো বলেন, অনেকেই বলেন, আগে সংস্কার কেন? আমরা বলছি, মানুষের খেয়ে বেঁচে থাকার জন্যে সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশী শক্তির প্রভাব যেনো সৃষ্টি না হয় সে জন্যে সংস্কার প্রয়োজন। যাতে করে দেশের প্রত্যেকটা ভোটার তাদের ভোট দিতে পারে। তবে সরকার জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করুক, এটাও কাম্য নয়। তাই আমরা বলছি, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। আনুপাতিক হারে ভোটের নির্বাচন হবে। যে দল যত পার্সেন্ট ভোট পাবে, সেই দল সংসদে ততটা আসন পাবে। তখন প্রত্যেকটা ভোট কাজে লাগবে। দুনিয়ার সকল দেশে উন্নয়নের কাজ করে স্থানীয় সরকার। আর আমাদের দেশের সরকারে স্থানীয় পরিষদকে বঞ্চিত করে এ কাজ করেন এমপি-মন্ত্রীরা। সংবিধান বলে একাজ এমপি-মন্ত্রীদের নয়। এমপিরা সংসদে আইন পাস করবে। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা সুষম উন্নয়ন করবে।
ডা. শফিকুর রহমান বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা আপনাদের বিনয়ের সাথে বলবো, আপনারাও মজলুম ছিলেন, আমরাও মজলুম ছিলাম। এমন কোনো কাজ করবেন না, যা করলে আমাদের শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে। যা করলে অসংখ্য আহত পঙ্গু অপমানিত হবে না এবং মজলুম মানুষের মনে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠবে।
প্রায় ৭ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর সামনে কেন্দ্রীয় আমীর আরো বলেন, যদি কারো বেঁচে থাকার অবলম্বন না থাকে, চাঁদাবাজি, দখলদারি করবেন না। আর মানুষকে কষ্ট দিবেন না। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দিলে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিন কোটি নেতা-কর্মী নিয়ে স্বেচ্ছায় আমি জেলে যাবো।
কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও জেলার নায়েবে আমীর অ্যাড. মাসুদুল ইসলাম বুলবুলের সভাপ্রধানে পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম মাসুম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সহকারী সেক্রেটারি কামাল উদ্দিন, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আতিকুর রহমান।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়ার সঞ্চালনায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক আবুল হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, আবু নসর আশরাফী, শহর আমীর অ্যাড. মো. শাহজাহান খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর ইউনুস হেলাল, শাহরাস্তি উপজেলার আমীর মোস্তফা কামাল, হাজীগঞ্জ উপজেলার আমীর বিএম কলিমুল্লাহ, পৌরসভা আমীর আবুল হাসানাত, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহীম খলিল, চাঁদপুর শহর সভাপতি মোহররম আলী প্রমুখ।