রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪১

ভাষা শহীদদের স্মরণে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বেঁচে থাকবে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার
শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বেঁচে থাকবে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা : জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে

২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে। ভাষা শহীদদের স্মরণে এই আলোচনা সভায় সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. এরশাদ উদ্দিন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরীসহ আরো অনেকে।

সভার শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়, যেখানে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যের মাধ্যমে বায়ান্নর চেতনা তুলে ধরা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে

বলেন, চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অনেক রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা সবাই মিলে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়তে কাজ করবো।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ, জারি হয় ১৪৪ ধারা, ভেঙ্গে ফেলা হয় শোষকের শৃঙ্খল। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। গুলিতে বিদীর্ণ হয় বুক। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরো অনেকে। ভাষার জন্যে প্রাণ দিয়ে ইতিহাস গড়েন তারা। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। মাতৃভাষার জন্যে প্রাণ উৎসর্গের এই দিনটিকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালে। অমর একুশে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশের চেতনার প্রতীক ‘শহীদ মিনার’ এখন এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ সব মহাদেশের বহুভাষিক চেতনার স্মারক।

শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বেঁচে থাকবে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

চাঁদপুরের সর্বত্র এবার একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্কুল-কলেজ ও পাড়া-মহল্লায়ও ছিলো নানা আয়োজন। অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সবাই। এসব আয়োজনে শিশুদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়