প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫০
পুরাণবাজার শহিদ দিবস উদযাপন পরিষদের পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন
![পুরাণবাজার শহিদ দিবস উদযাপন পরিষদের পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠান উদ্বোধন](/assets/news_photos/2025/02/15/image-58933-1739609526bdjournal.jpg)
'ধারাবাহিক পথচলার ৫৬ বছর, সময় আলোকিত হোক একুশের চেতনায়' এই স্লোগানকে ধারণ করে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন পরিষদের পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকালে পুরাণবাজার মধুসূদন হাই স্কুল মাঠ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবারের একুশের আয়োজন।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার। পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী পুরাণবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংকার মো. মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী,
সহ-সভাপতি মেম্বার সুভাষ সাহা, যুগ্ম মহাসচিব এ কে আজাদ, টিটু দাস, বিপ্লব দাস কুট্টি, সদস্য মিতু ঘোষ (প্রাবি শিক্ষক) প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন ধর।
এদিন চিত্রাংকন ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় শিশু থেকে উন্মুক্ত বিভাগে প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেয়। এছাড়া অন্যান্য প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে কবিতা আবৃত্তি ও সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার তাঁর বক্তব্যে পুরাণবাজার ঐতিহাসিক ব্যবসা কেন্দ্র ও পুরাণবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ইতিহাস- ঐতিহ্য তুলে ধরেন এবং ভাষা শহিদ, ৬৯-এর গণআন্দোলনের শহিদ, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদ ও জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনের বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও তরুণ প্রজন্মকে তাদের ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান।
আব্দুল হামিদ মাস্টার একুশের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন প্রভাত ফেরী, শপথ, শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, এরপর বিকেল চারটা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদয়ন কচি-কাঁচা, বঙ্গজ, স্বদেশ ও আনন্দধ্বনি নামের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো একুশের অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। এরপর হবে দিবসের ওপর আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া (উপসচিব)।
এসব আয়োজন চাঁদপুর পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় হয়ে আসছে। প্রতিবারের মতো এবারও পুরাণবাজার একুশ উদযাপন পরিষদের উল্লিখিত আয়োজনে চাঁদপুর পৌরসভার সহযোগিতা থাকবে বলে জানা যায়।