প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:০৬
ছাত্র-জনতার আন্দোলন
হাজীগঞ্জে ভাংচুর-লুটপাটের মামলায় আরও তিন আসামী জেলহাজতে
![হাজীগঞ্জে ভাংচুর-লুটপাটের মামলায় আরও তিন আসামী জেলহাজতে](/assets/news_photos/2025/02/13/image-58911-1739462954bdjournal.jpg)
হাজীগঞ্জে গেলো বছর (২০২৪) ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আরও ৩ আসামীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার-এঁর আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামীরা হলেন : হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম (৪৮), পৌরসভার মোল্লা বাড়ির শাহজাহান মোল্লার ছেলে শরীফ মোল্লা (৩২) ও ৮নং ওয়ার্ড টোরাগড় এলাকার দুলাল কাজীর ছেলে রাজু কাজী (২৯)। একই আদালতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই মামলার ৫ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আসামীরা হলেন : মহিন উদ্দিন (২৫), রাসেল ওরফে গোদা রাসেল (৩০), শুকু ওরফে শুকুর আলম (৪৮), আদর কাশারী (২০) ও রায়হান কাশারী (২৫)। আসামীরা হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গেলো বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজার মেসার্স মার্সেল (ইলেকট্রোল্যান্ড) নামক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি, পরবর্তীতে ভাঙচুর, লুট ও কর্মচারীদের হামলা করে আহত করে। এতে প্রতিষ্ঠানের তিনটি ফ্লোরের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭১০ টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এ ঘটনায় ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মিজানুর রহমান সেলিম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ৭৪জন নামীয় ও ১০০-১৫০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
মামলার এজাহার নামীয় উল্লেখিত ৩ আসামী গত ১৩ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। ৬ সপ্তাহ শেষ হলে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. কুহিনুর বেগম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি কুহিনুর বেগম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. বাবর বেপারী, অতিরিক্ত পিপি শামসুল ইসলাম মন্টু, এপিপি হারুনুর রশিদ, এপিপি নুরুল আমিন খান আকাশ, এপিপি ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম ও এপিপি মোজাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সৈয়দ মুস্তাফা জিলানী।