প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:০৭
বিশ্ব শান্তি কল্পে চাঁদপুর পৌর মহাশ্মশানে বাৎসরিক হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান
![বিশ্ব শান্তি কল্পে চাঁদপুর পৌর মহাশ্মশানে বাৎসরিক হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান](/assets/news_photos/2025/02/12/image-58873-1739354875bdjournal.jpg)
বিশ্ব শান্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ব্যাপক আয়োজনে চাঁদপুর শহরের বাগাদী রোডস্থ (ইচলী) পৌর মহাশ্মশান মন্দির কমপ্লেক্সে বাৎসরিক ২৪ প্রহর শ্রী শ্রী তারক ব্রহ্ম মহাযজ্ঞ (হরিনাম সংকীর্তন) অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষে পৌর মহাশ্মশান মন্দির কমপ্লেক্সে আগামী মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ) বিকেল ৩ টায় শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করবেন রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) নিবাসী মানিক কৃষ্ণ গোস্বামী। এইদিন বিকেল সাড়ে ৪ টায় ভক্ত নর- নারীর উপস্থিতিতে গঙ্গা আবাহন, মঙ্গল ঘট স্থাপন ও শুভ অধিবাস অন্তে আগামী শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) পর্যন্ত ২৪ প্রহরব্যাপী অহোরাত্রি হরিনাম সংকীর্তনের শুভ আরম্ভ হবে। একই দিন অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি কীর্তন চলাকালীন মধ্যাহ্নে মহাপ্রভুর ভোগরাগ ও মহাপ্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যায় হরিনাম কীর্তন সমাপনান্তে নগর কীর্তন, দধিমঙ্গল ও মহন্ত বিদায় অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে হরিনাম কীর্তন পরিবেশন করবেন প্রভু নিরঞ্জন সম্প্রদায় (মাদারীপুর), আদি নারায়ণ সম্প্রদায় (পটুয়াখালী), রাম রামানন্দ সম্প্রদায় (বরিশাল), তুলশী নারায়ণ সেবা সম্প্রদায় (ঢাকা), গুরুভাই সম্প্রদায় (সিলেট), তারক ব্রহ্ম সম্প্রদায় (কুমিল্লা) । আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানসমূহে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সকলের সানুগ্রহ উপস্থিতি ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন চাঁদপুর হরিবোলা সমিতির সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অজয় কুমার ভৌমিক। তিনি বলেন, জন্মিলে মরিতে হবে ইহাই বাস্তব সত্য। আমাদের সনাতনীদের মৃত্যুর পর শেষ আশ্রয়স্থল মহাশ্মশান। এই মহাশ্মশানেই শেষকৃত্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায়, পাওয়া না পাওয়ার ব্যর্থতা আর সহায় সম্পদের হিসেব নিকেষ। পরিসমাপ্তি ঘটে আমাদের উচ্চ আকাঙ্ক্ষার। এক নিমিষে শেষ হয়ে যাবে সকল চাওয়া পাওয়ার। শুধু বেঁচে থাকবে তার জীবদ্দশায় ভালো মন্দ কাজের কথাগুলো। তিনি চাঁদপুর পৌর মহাশ্মশানের উন্নয়নে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষ যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আজ সকলের সাহায্য সহযোগিতায় চাঁদপুর মহাশ্মশান একটি পুণ্য ভূমিতে পরিণত হয়েছে। পূর্বে এই স্থানে দিনের আলোতেও মানুষ আসতে ভয় পেতেন। কিন্তু এখন রাতের অন্ধকারেও মানুষ এই স্থানে আসতে ভয় পান না। মহাশ্মশানের নিবেদিত সদস্যদের প্রচেষ্টায় এমন সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আজ সকল সনাতনীদেরই ইচ্ছে মহাশ্মশানের উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি মহাশ্মশানে বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণসহ উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান।