মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৩২

হাইমচরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর স্মারকলিপি

মো. সাজ্জাদ হোসেন রনি ॥
হাইমচরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর স্মারকলিপি

হাইমচর উপজেলার বাজাপ্তি রমণীমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমএ মান্নান শিকদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের জমিদাতাসহ স্থানীয় লোকজন প্রধান শিক্ষকের দীর্ঘদিনের চলমান অনিয়মের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে । সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুরে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষার নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসীর পক্ষে বিদ্যালয়ের জমিদাতা হাসান ইমাম মাসুদ আলম।

স্মারকলিপিতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ বাণিজ্য, প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে অতিরিক্ত বেতন গ্রহণ, গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন, দায়িত্ব পালনে স্বেচ্ছাচারিতা, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের অনিয়ম, অন্য শিক্ষকদের অহেতুক শোকজসহ বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করে তদন্তের দাবি করেন এলাকাবাসী। এ সময় মো. হাছান ইমাম মাসুদ প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক এমএ মান্নান বলেন, আমি ২০১০ সালে বাজাপ্তি রমণীমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। ২০১৩ সালে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মাসুদ গাজী ভোটে হারার পর থেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ২০১৪ সালে এই মাসুদ মান্নান গাজী নামক লোক দিয়ে অভিযোগ দেয়। যা ঐ সময় তদন্ত করে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আমার বিরুদ্ধে নতুন করে যে অভিযোগ হয়েছে, তাও সঠিকভাবে তদন্ত হলে তা মিথ্যা প্রমাণিত হবে। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, আমার চাকুরি জীবনে স্কুল থেকে এক টাকাও আমি হাত দিয়ে ধরি নাই, টাকা আত্মসাৎ তো দূরের কথা।

হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আমি স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়