রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ২০:৫৯

মা কই, সন্তান কই, মানবিকতা দেখবে কে?

কামরুজ্জামান টুটুল
মা কই, সন্তান কই, মানবিকতা দেখবে কে?

সাংবাদিক হিসেবে মানবিক আবেদনধর্মী বহু নিউজ করেছি। কোন নিউজে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি কোন নিউজে যৎসামান্ন সাড়া পেযেছি। মানবিক আবেদন ধর্মী যে সংবাদটি আজকে পাঠককে দেবো তা সত্যিকারের হৃদয় বিদারক ঘটনা। মাত্র ৫ মাসের শিশু সন্তান ইউসুফ গ্রামের নানীর কোলে ঠাঁই মিলেছে আর মা ফাতেমা বেগম (৩৭) রাজধানীর শ্যামলী কিডনি হাসপাতালে প্রতিদিন ৯ হাজার টাকায় ডায়ালাইসিস চলছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা ডাযালাইসিস, রুম ভাড়া মিলিয়ে প্রতিদিনের খরচে পরিবারটি পথে বসার উপক্রম হযেছে। ফাতেমা হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর মোল্লা বাড়ির জামাল হোসেনের স্ত্রী। মায়ের অসুস্থতার কারনে জন্মের পর থেকে মায়ের বুকের দুধের স্বাদ পাননি ইউসুফ। প্যাকেটজাত দুধ খেয়ে নানীর কোলে বড় হচ্ছেন পুষ্টিহীন শিশু ইউসুফ।

ইউসুফ। যে বয়সে মায়ের কোলে থাকার কথা, মায়ের কোলে থাকার কথা, মায়ের কোলে ঘুমানোর কথা, মায়ের সাথে হু হা করে হাত পা ছুঁড়ে খেলার কথা সেখানে নানীর কাছে থাকতে হচ্ছে ইউসুফকে। চিকিৎসার ব্যায়ভারের কারনে পারিবারিক অর্থ সংকট আর কিডনি জটিলতায় শারীরিক সমস্যা প্রকট ইউসুফের মায়ের জীবন প্রদিপ যে কোন দিন নিভে যেতে পারে। তবে উন্নত চিকিৎসা করালে হয়তো ৫ মাসের ইউসুফ মাযের কোলে বড় হতে পারবে।

খোঁজ নিয়ে ও ইউসুফের পারিবারের সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফের বাবা জামাল হোসেন বাহরাইন প্রবাসী হলে ও সেখানে প্রায় বেকার তিনি। গত ৫ মাস আগে ইউসুফের জন্মের সময় তার মা ফাতেমার সিজার করা হয়। সেই সময় তার মাযের জটিল কিডনি রোগ ধরা পড়ে। এর পরেই নানান হাসপাতাল, নানান চিকিৎসকের স্বরনাপন্ন হওয়া, নানার পরীক্ষার ব্যায়ভার, কিডনি রোগের চিকিৎসা করানো আর গত ৪ মাস ধরে ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে পরিবারটির প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যায় হয়ে যায়। মাত্র ৫ মাসে পরিবারটির ২০ লাখ টাকা ব্যাযের কারনে পরিবারটি মারাত্বক অর্থ সংকটে পড়ে। এর মধ্যে রাজধানীর শ্যামলী কিডনি হাসাপাতাল প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করানো বাবত ৭ হাজার টাকাসহ রুম ভাড়া মিলিযে প্রতিদিন ৯ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে পরিবারটিকে।

মধ্যবিত্তের পরিবারটি উপাযন্তর না পেয়ে গনমাধ্যমের স্বরনাপন্ন হলে লোক লজ্যার কারনে কথা বলতে চাননি তারপরেও ছোট্ট ইউসুফকে বাঁচানো ও তার মা ফাতেমার কিডনি প্রতিস্থাপন ও ব্যবভার মিটানোর মতো কোন মানুষরুপী ফেরেস্তা এগিয়ে আসলে মানবিকতা রক্ষাসহ ৬ সদস্যের পরিবারটিতে ফিরে আসবে প্রানচাঞ্চল্য। ফাতেমা'র বিকাশ নাম্বার বা যোগাযোগ করতে 01893295490.

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়