প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২১, ১১:০২
বালি ফেলে সড়কে প্রতিবন্ধকতা !
বাড়িতে প্রবেশ পথের মূ্ল পাকা সড়কে বালি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ নিয়ে গত শনিবার রাতে একদফা মারামারি হয়েছে আর এতে করে সবুজ মজুমদার (২৫) নামের একজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরেক দফা মারামারির পরিবেশ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনাটি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন উপজেলা পরিষদ দক্ষিণ গেইটের বিপরীত পাশের টাওয়ার সংলগ্ন কংগাইশ গ্রামের মজুমদার বাড়িতে। এ ঘটনায় আহত সবুজ মজুমদারের বাবা দুলাল মজুমদার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (যার নং- ১২২৫) দিয়েছেন। অভিযোগে একই বাড়ির মীর হোসেন মজুমদারের ছেলে সাইমুন ইসলাম প্রিন্স (৩২), মৃত আব্দুর রহমান মজুমদারের ছেলে আ. হান্নান মজুমদার (৫০), মো. জাবেদ মজুমদার (৩২) ও মো. মাসুদ মজুমদার (৩৪), আ. হান্নান মজুমদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৭)কে বিবাদী করা হয়।
|আরো খবর
অভিযোগকারী দুলাল মজুমদার জানান, কংগাইশ মৌজার ১১৩০নং দাগে .৫০ (আধা শতাংশ) ভূমি ক্রয় করে, তা বালু দ্বারা ভরাটের পর গত বছর পাকা রাস্তা (চলাচলের পথ) নির্মাণ করা হয়। পাকা সড়কটি চলাচলের পথ হিসেবে সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার ২৪ জুলাই বিকেলে অভিযোগের বিবাদীরা পাকা সড়কের মাঝখানে জোরপূর্বক বালু ফেলে সড়কে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে করে উক্ত বাড়ির দুই পরিবারকে চলাচলে পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে আমার ছেলে সবুজ মজুমদার প্রতিবাদ করলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় বিবাদীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার দিন রাতেই হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহতের বাবা দুলাল মজুমদার। অভিযোগের পর থেকে বিবাদীরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি ও মারধরসহ আমাদের খুন করে লাশ গুম করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে বলে জানান দুলাল ।
একই বিষয়ে অভিযোগ করে অপর ভুক্তভোগী রৌশনারা খানম বলেন, আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল চলাচলের পথ হিসেবে অভিযোগের বাদী দুলাল মজুমদারের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের কাছ থেকে .৫০ (আধা শতাংশ) ভূমি ক্রয় করেন। আবার এই ভূমি মর্জিনা বেগম উল্লেখিত বিবাদীদের পরিবারের কাছ থেকে ক্রয় করেন। অথচ বিবাদীরা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি এবং প্রায় সময় হামলাসহ হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের ২৪ অক্টোবর স্থানীয়ভাবে সালিসি বৈঠকে দুই-পক্ষের আপোষ-মীমাংসার মাধ্যমে সবকিছু মেনে নিয়ে কাগজে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কিন্তু বৈঠকের তিন দিন পর তারা ওই চুক্তি মানে না বলে কাগজের প্রথম কপিতে বাতিল লিখে আমাদের ফেরত দেয় বিবাদীরা। গত শনিবার ২৪ জুলাই তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাদের বাড়িতে চলাচলের পথে বালু ফেলে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে দেয়।
এদিকে বালু ফেলার বিষয়টি স্বীকার করে বিবাদী সাইমুন ইসলাম প্রিন্স বলেন, আমরা আমাদের সম্পত্তির উপর বালু রেখেছি। তারা (বাদীপক্ষ) যে সম্পত্তি দাবি করছে, তা রাস্তার আরো পূর্ব দিকে, অর্থাৎ বতর্মানে রাস্তার এক তৃতীয়াংশ আমাদের সম্পত্তির উপর রয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান। তাই বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে এবং রায় যার পক্ষেই যাবে, আমি তা মেনে নিবো। অপর এক প্রশ্নে সাইমুন ইসলাম প্রিন্স বলেন, মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি বালু ফেলার পরে দুলাল মজুমদার ও তার ছেলেরা এসে আমার দেয়ালটি ভেঙে ফেলে। এরপর মঞ্জুর হোসেন ও তার ছেলেরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি করে। তারপর শুনেছি ছাদ থেকে কে বা কারা ইট নিক্ষেপ করেছে।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার উপ-পরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন-২ রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।