প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২১, ০১:১৩
আসুন, করোনা মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হই -৩
‘করোনায় সারাদেশে মৃত্যুর মিছিল চলছে। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছে। এক ভয়াবহ বিপর্যয়ে দেশ। চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণ সারাদেশের গড়ের চেয়েও বেশি। এমতাবস্থায় আপনার ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের পক্ষ থেকে আপনি করোনা মোকাবেলায় বিশেষ করে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় ছোট-বড় কী কাজ করতে চান কিংবা কী বলতে চান?' চাঁদপুর কণ্ঠের এমন প্রশ্নে নিম্নোক্ত নেতৃবৃন্দ যা বললেন--
|আরো খবর
প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব সর্ম্পকে সচেতন হতে হবে : আবু সুফিয়ান শাহীন
তরুণ প্রজন্মের কাছে আদর্শ বলা যায়। একদিকে রাজনীতি, অন্যদিকে ব্যবসা এবং সমাজসেবা তিনটি দিকই সমান তালে করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান শাহীন। আবার অন্যদিকে ঢাকার একটি পত্রিকার নিবার্হী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখার সাথে সাথে এলাকার মানুষেরও নিয়মিত ভালমন্দ তদারকি করছেন। করোনা মোকাবেলায় অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের চেয়ে অনেক এগিয়ে নিয়েছেন আবু সুফিয়ান শাহীন নিজের চেষ্টায়।ঈদের সময় নেতাকর্মীদের ঈদ উপহার, চিনি সেমাই দেয়া ছাড়া গোপনে গোপনে কিছুটা খারাপ অবস্থায় থাকা কর্মীদের কাছে অর্থ বা নিত্যপ্রেয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে এসেছেন। সর্বশেষ তিনি সোমবার (১৯ জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গরীব মানুষের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিয়েছেন। আর মাক্স দিয় চলছেন অনবরত ।
‘করোনায় মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। সেই সাথে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এভাবে বাড়তে থাকলে জেলা পর্যায়ে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। চিকিৎসক সংখ্যা যাই থাকুক হাজার হাজার রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া কোনভাবেই সম্ভব হয়ে উঠবে না। ভয়াবহ পড়বে বিপর্যয়ে দেশ। চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণ সারাদেশের গড়ের চেয়েও বেশি। এমতাবস্থায় আপনার শহর ফরিদগঞ্জ করোনা মোকাবেলায় কী বলতে চান?'
তার কাছে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলা সরকার থেকে শুরু করে আমি পর্যন্ত কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব সর্ম্পকে সচেতন হতে হবে। যে যার মতো করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। আমি আমার গাড়ীতে সর্বদা কয়েক বক্স মাক্স রাখি। প্রতিদিন তা বিলিয়ে যাচ্ছি। বর্তমান করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর সময় শুকনো খাবার, রান্না করা বিলি করেছি। নিত্যপ্রয়াজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেছি। আর কত কী। আসলে ইচ্ছা শক্তি জাগ্রত থাকলে এসব সেবামুলক কাজ করা সহজ।