প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
শপিং নিয়ে সমস্যা
স্বামী : তুমি না বললা, এবার ঈদে কোনো শপিং করবা না। সব টাকা সেভিং করবা? এখন বলছ ইচ্ছে করেই কিছু কিনে দেই না, আমি কিপটা?
স্ত্রী : আমি তো কথার কথা বলছি। তাই বলে তুমি কিনে দিবা না? তোমার কী কোনো দায়িত্ব নেই? কীভাবে এমন কমনসেন্স ছাড়া একটা মানুষ হয়?
পাশে ফ্ল্যাটের মানুষ : ভাই, ভাবী তো ঠিকই বলছে। আপনার তো উচিত ছিল ২০ হাজার টাকা দিয়ে বলা, ‘যাও তোমার যা ইচ্ছে কিনে নাও!’ দুনিয়া থেকে কমনসেন্স আসলেই বিদায় নিয়েছে।
লোকাল বাসের সমস্যা
প্রথম ব্যক্তি : আরে ভাই, আপনি এমন বারবার ঘাড়ের ওপর এসে পড়ছেন কেন? আপনার সিটে আপনি হেলান দিয়ে ঘুমান। আরেকজনকে বিরক্ত করছেন। এটা কোন কথা?
দ্বিতীয় ব্যক্তি : ওই মিয়া, এমন ফাঁপর মারেন কেন? বাস কি কিন্না নিছেন নাকি? আপনার ঘাড়ে কি আমি ইচ্ছে করে মাথা রাখি। ঘুমালে তো আমার হুঁশ থাকে না।
তৃতীয় ব্যক্তি : আরে ভাই, এমন করতাছেন কেন? মাথাই তো রাখছে বস্তা তো আর রাখে নাই! এই যে দেখেন আমি দাঁড়াইয়া যাইতাছি আমার ঘাড়ের ওপর মাথা রেখে আরেকজন ঘোড়ার মতো ঘুমাইতাছে। লোকাল বাসে এসব ব্যাপার না। চেপে যান।
ভেজাল নিয়ে সমস্যা
ক্রেতা : তোমার তেলের তো মেয়াদ নেই। বোতলের কোথাও ডেট লেখা দেখতাছি না। আমার তো সন্দেহ হইতাছিল প্রথম থেকেই।
বিক্রেতা : ডেট খোঁজেন কেন ভাই? আপনার বাসায় কি ক্যালেন্ডার নাই? এটার গায়ে হিডেন ডেট লেখা আছে, খালি চোখে দেখা যায় না।
তৃতীয় ব্যক্তি : ডেট খুঁজে কী করবেন ভাই? আমাদের পেটেরই তো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ভালো কিছু খাইলে দেখবেন ডায়েরিয়া। হাসপাতালের বাসিন্দা হয়ে গেছেন। তার চেয়ে এসবই খান।
কেনাকাটায় সমস্যা
ক্রেতা : টি শার্ট গায়ে দেওয়ার পর দেখি শরীরে ঢোকেই না। নেওয়ার সময় বলেছেন পাল্টিয়ে দেবেন আর এখন বলছেন পাল্টিয়ে দেবেন না। মগের মুল্লুক নাকি?
বিক্রেতা : আপনার মাথায় দেখছি কিঞ্চিৎ প্রবলেম আছে। আমার টি-শার্ট তো আপনাকে ওয়ার্নিং দিতাছে। এই যে অতিকায় ভুঁড়ি এটা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। দ্রুত স্বাস্থ্য সচেতন হোন। উপকারী টি শার্ট।
তৃতীয় ব্যক্তি : ঠিকই বলছেন ভাই, টি শার্টটা আসলেই উপকারী। শরীর একটা কুমড়ার মতো বানালে তো টি শার্ট ভেটো দেবেই। আমারেও দুটা টি-শার্ট দেন।