প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
বিষ্ণুদী ইয়াং স্টার ক্লাবের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন
চাঁদপুর শহরের ইয়াং স্টার ক্লাবের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি এমএ খালেক মিয়াজি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল আলম চৌধুরী। ক্লাবের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর ও হাজী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মিজি।
|আরো খবর
ক্লাবের ফুটবল খেলা পরবর্তী সভায় উপস্থিত ক্লাবের উপদেষ্টা ও সকল সদস্যের সম্মতিতে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন রাসেল খান পায়েল, যুগ্ম-সম্পাদক ওজিউল্লাহ মিয়া জিন্নাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সুজন, কোষাধ্যক্ষ শাহীন কবির এবং দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জাহিদ হাসান মিলন।
ক্লাবের নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক এমএ খালেক মিয়াজী এই প্রতিবেদককে বলেন, আমরা আমাদের এলাকার দুটি ওয়ার্ডের সকলকে নিয়ে খেলাধুলার মাধ্যমে ক্লাবটিকে এগিয়ে নিতে চাই। খেলাধুলার মাধ্যমে এই এলাকাকে মাদকমুক্ত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা ইতিমধ্যে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েলের কাছে ক্লাবের জন্য জমি চেয়েছি। তিনি যদি আমাদেরকে জমি দেন তাহলে আমরা সেখানেই ক্লাবের নামে একটি ক্লাব ঘর করার পরিকল্পনা নেবো।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল আলম চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের ক্লাবের মাধ্যমে আমরা এলাকাতে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করেছি। আমরা চাচ্ছি আমাদের ক্লাবের মাধ্যমে উদীয়মান ফুটবলার ও ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন ইভেন্টের খেলোয়াড়দেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। আমাদের এই ক্লাবটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ও লীগে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা যেন এই ক্লাবের মাধ্যমে খেলাধুলাসহ এলাকার সামাজিক সকল কর্মকা-ে এলাকাবাসীকে সেবা দিতে পারি-সেই লক্ষ্যে আমাদের ক্লাবের সকল কার্যক্রম চলবে।
বুধবার বিসিবির নির্বাচন, পরিচালনা পর্ষদে আসছেন কারা?
যঃঃঢ়ং://িি.িনধহমষধঃৎরনঁহব.পড়স/৭০৫৫০৮
বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৩২
বুধবার বিসিবির নির্বাচন, পরিচালনা পর্ষদে আসছেন কারা?বুধবার বিসিবির নির্বাচন, পরিচালনা পর্ষদে আসছেন কারা?
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কাল বুধবার। পরিচালকদের ২৫টি পদ থাকলেও কেবল ১৬ পদের জন্যই বিসিবি কার্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মোট ভোটার ১৭৩ জন, কিন্তু ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন ১২৭ জন। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়াতে ওখানকার কাউন্সিলদের ভোট নেওয়া হবে না। ১২৭ কাউন্সিলের মধ্যে ৭০ জন সশরীরে এসে ভোট দেবেন। বাকিরা ই-ভোট ও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন।
নির্বাচিতরা আগামী চার বছরের জন্য দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। বুধবার রাতে ভোট গণনা শেষে রাতেই প্রাথমিক ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। পরদিন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার এসএম কবিরুল হাসান বলেছেন, ‘আমি প্রস্তুতিটা দেখার জন্য এসেছি। আপনারা জানেন ই-ভোট ও পোস্টাল ব্যালট আমরা ইতোমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের ভোট প্রক্রিয়া যখন সম্পন্ন হবে, তখন এগুলো ওপেন করবো। বেসরকারিভাবে আগামীকালই ফল ঘোষণা করা হবে, আর সরকারিভাবে তার পরের দিন ফল পাওয়া যাবে।’
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দুটি পদ ছাড়া ২৩ পদের জন্য ৩২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। শেষমেষ দুইজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়াতে প্রার্থীদের সংখ্যা এখন ৩০। বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন ২৫ পরিচালক। ২৩ পরিচালক আসবেন তিনটি ক্যাটাগরি থেকে। বাকি দুই জন বোর্ডে আসবেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে। আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে আবারও বোর্ডের পরিচালক হচ্ছেন।
বাকি ২৩ পরিচালকের মধ্যে ৭জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। তারা হচ্ছেন -আ জ ম নাছির উদ্দীন ও আকরাম খান (চট্টগ্রাম বিভাগ), কাজী ইনাম আহমেদ ও শেখ সোহেল (খুলনা বিভাগ), শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (সিলেট বিভাগ), এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম (রংপুর বিভাগ) ও আলমগীর খান আলো (বরিশাল বিভাগ)। এদের বাদ দিয়ে বাকি ১৬ পরিচালক পদে নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
তিন ক্যাটাগরির মধ্যে বিসিবি নির্বাচনে ক্লাব ক্যাটাগরিতেই জমজমাট ও হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ১২ পরিচালক নির্বাচিত হবেন এখান থেকে। এবার ১২ পদের জন্য লড়বেন ১৬ প্রার্থী। ১৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র কিনে জমা দিলেও শেষ দিনে শওকত আজিজ রাসেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচন করছেন বিসিবির দুইবারের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আরও আছেন গাজী গোলাম মর্তুজা (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স), নজিব আহমেদ (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব), মাহবুব উল আনাম (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব), মাসুদুজ্জামান (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব), ওবেদ রশিদ নিজাম (শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব), সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া (ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব), সালাহ উদ্দিন চৌধুরী (কাকরাইল বয়েজ ক্লাব), ইসমাইল হায়দার মল্লিক (শেখ জামাল ক্রিকেটার্স), এনায়েত হোসেন (আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব), ফাহিম সিনহা (সূর্য তরুণ ক্লাব), ইফতেখার রহমান (ফেয়ার ফাইটার্স স্পোর্টিং ক্লাব), মনজুর কাদের (ঢাকা এসেটস), মোহাম্মদ আব্দুর রহমান (মিরপুর বয়েজ ক্রিকেট ক্লাব), শওকত আজিজ রাসেল (আম্বার স্পোর্টিং ক্লাব), রফিকুল ইসলাম (গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমি) ও মনজুর আলম (আসিফ শিফা ক্রিকেট একাডেমি)। মোট ৫৭ জন কাউন্সিলরের ভোটে এখান থেকে ১২ পরিচালক নির্বাচিত হবেন, বাদ পড়বেন চার প্রার্থী।
জেলা ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করে আসতে হতো ১০ পরিচালককে। কিন্তু সাত জেলায় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর এই ক্যাটাগরিতে তিনজনকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হচ্ছে। ঢাকা বিভাগ থেকে দু’জন এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে একজন পরিচালক নির্বাচিত হয়ে আসবেন।
ঢাকা বিভাগের দুটি পদের জন্য লড়াই হতো মূলত চারজনের। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন খালিদ হোসেন। আঞ্চলিক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি- ক্যাটাগরি এক-এ পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য ঢাকা বিভাগ থেকে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাদারীপুরের এই সংগঠক। ফলে তানভীর আহমেদ টিটু (নারায়ণগঞ্জ), নাঈমুর রহমান দুর্জয় মানিকগঞ্জ), সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর (কিশোরগঞ্জ) মধ্য থেকে দু’জনকে বেছে নেবে ওই বিভাগের ১৮ জন কাউন্সিলর।
রাজশাহী বিভাগে একটি পদের জন্য লড়বেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। প্রথমবার তিনি পরিচালক পদে নির্বাচন করছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী, যিনি গত মেয়াদে পরিচালক ছিলেন।
তিন নম্বর ক্যাটাগরিতেও একটি পদের জন্য লড়বেন দু’জন। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সাবেক ন্যাশনাল ম্যানেজার ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের মধ্য থেকে একজন নির্বাচিত হবেন।
সময়সীমার পর প্রত্যাহার করা খালিদ হোসেনের নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিয়ে কবিরুল হাসান বলেছেন, ‘তারটা (খালিদ হোসেন) ব্যালটে চলে আসবে। কারণ, তিনি সময়সীমার পরে প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে তা ব্যালটে চলে আসবে। নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, এটা একান্ত তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ের বোর্ড রুমে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। করোনার কারণে অনেক কাউন্সিলরই সরাসরি ভোট দিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। সব মিলিয়ে ৬৬ জন পোস্টাল ব্যালট এবং ৮ জন ই-ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ চেয়েছেন। তাদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ৫৭ কাউন্সিলরকে সেই সুযোগটা দিয়েছে।