প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
হাইমচর উপজেলাধীন আদর্শ শিশু নিকেতন ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি উপজেলা সদর আলগী বাজারের কাটাখালী রোডে অবস্থিত। এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাইমচরের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিক পাটওয়ারী।
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সুনাম ও গৌরবের সাথে পরিচালনা করে আসছেন। দীর্ঘ দেড় বছর বাংলাদেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর সরকার পুনরায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়। ছাত্র-ছাত্রীরা দীর্ঘ দেড় বছর পরে স্কুলে ফিরবে এমন সংবাদ পাওয়ার পর আদর্শ শিশু নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিক পাটওয়ারী প্রতিষ্ঠানটিকে এক ব্যতিক্রম সাজে সাজানোর পরিকল্পনা নেন। তিনি আদর্শ শিশু নিকেতনের মেইন গেটের বাইরে এবং ভেতরের দেওয়ালে মনোমুগ্ধকর চিত্র অংকন করান। যেই চিত্রাঙ্কন খুব সহজেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকদের মন কেড়ে নেয়।
এ সম্পর্কে আদর্শ শিশু নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার করোনার কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর প্রায় দেড় বছর ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসতে পারেনি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই পরিবেশ বিনষ্ট হয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুলে পড়াশোনার প্রতি সহজে মন বসাতেই আমি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি দেয়ালে মনোমুগ্ধকর চিত্রাঙ্কন করেছি। এছাড়া আমার এ প্রতিষ্ঠানের ২৫ বছর তথা রজতজয়ন্তীর বর্ষ চলছে।
আদর্শ শিশু নিকেতনের প্রতিটি দেয়ালে মনোমুগ্ধকর চিত্রাঙ্কনগুলো হচ্ছে : জাতীয় পতাকা হাতে শিক্ষার্থীরা ছুটে চলছে, ছাত্র-ছাত্রীরা গ্রামের মেঠোপথে স্কুলে যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মাঠে ফুটবল খেলছে, শিক্ষিকা বাচ্চাদের ক্লাস নিচ্ছে। চিত্রাঙ্কনে আরো ফুটে উঠেছে রংবেরঙের ফুল, ফল, পশুপাখি, নদ-নদী, খাল-বিলসহ বাংলা, ইংরেজি, অংকের অক্ষর (অ, আ, ক, খ, ১, ২, অ, ই, ঈ)সমূহ।
কয়েকজন অভিভাবকের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, মাজহারুল ইসলাম শফিক স্যারের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার ফসল আজকের এই আদর্শ শিশু নিকেতন। আকর্ষণীয় চিত্রাঙ্কনে আমাদের বাচ্চারা এবং আমরা খুবই আনন্দিত। ভালো মনের অধিকারী না হলে এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। স্কুল বন্ধের সময় স্যার সব সময় বাচ্চাদের খোঁজ-খবর রাখতেন।