প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
মেঘনা পাড়ের বাতিঘর বলে খ্যাত চাঁদপুর সরকারি কলেজে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে আটটায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হয়। সকাল সাড়ে নয়টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশের নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বেলা দুইটায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিকেল তিনটায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ঐ দিন শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া পরিচালনা করেন কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর হাফেজ মোঃ রুহুল আমিন। বিকেল সাড়ে তিনটায় বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ আজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ‘১৫ আগস্ট, নক্ষত্রের পতন এবং বাঙালি জাতির কলঙ্কময় অধ্যায়’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার, সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ আলাউদ্দিন এবং শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ কামরুল হাছান। ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. সুলতানা তৌফিকা আক্তারের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইদুজ্জামান।
ওয়েবিনারে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার বলেন, ‘‘যত দিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু আমাদের চিন্তা, চেতনা, মননে বেঁচে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্ম সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।’’ জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-টি ছিল একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধু কোনো কালেই আপোষকামী ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দক্ষিণ এশিয়া তথা সমগ্র এশিয়ায় সামাজ্যবাদী শক্তির প্রভাব বিস্তার করা কঠিন ছিল। তাই পরিকল্পিত ভাবে এই হত্যকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে।’’ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকবৃন্দ ওয়েবিনারে সংযুক্ত ছিলেন। বাদ আসর কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদ ও হোস্টেল মসজিদে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত ও তবররুক বিতরণ করা হয়।