সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
সাহারা সিদ্দিকা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে বিশ্ব আজ মানুষের হাতের মুঠোয়। এ রকমই শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থী পড়ার টেবিলে বসেই শিক্ষা বিষয়ক যে কোনো তথ্য সহজেই সংগ্রহ করতে পারছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নতুন নতুন মাধ্যমের সূচনা করেছে। যা আগের অ্যানালগ মাধ্যমগুলোর থেকেও অনেক শক্তিশালী ও কার্যকর।

ফলে ছবি, অডিও, ভিডিও, অ্যানিমেশন ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে শিক্ষার বিষয়বস্তুকে অধিক আকর্ষণীয়, সহজবোধ্য এবং নির্ভর করে উপস্থাপন করা যাচ্ছে।

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষকরা কোনো কিছু পড়ানোর সময় উদাহরণ, চিত্র, আধুনিক তথ্য প্রভৃতি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করে তা প্রদর্শন করতে পারে। আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সাথে ডিজিটাল হোয়াটবোর্ড ব্যবহার করা হয়। শিক্ষকরা এখন বিভিন্ন বিষয়ে ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করে ওয়েবসাইটে আপলোড দিচ্ছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা যে কোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা ডাউনলোড করে পড়তে পারছেন। তাছাড়া ই-বুকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল ভার্সন কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে।

শিক্ষাক্ষেত্রে আইসিটির বিশাল প্রয়োগ বিস্তৃত ও সম্ভাবনাময়। বর্তমান বিশ্বে জ্ঞানের প্রধান তথ্যভাণ্ডার হলো উইকিপিডিয়া; যা মুক্ত বিশ্বকোষ হিসেবে পরিচিত। এর ওয়েবসাইট হলো : www.wikipedia.org

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই শিখছে না; শিখছে কম্পিউটার ইন্টারনেট, টেলিভিশন, মোবাইল, অনলাইন পত্রিকা ইত্যাদি যে কোনো উৎস থেকে। শেখার ক্ষেত্রে তাদের স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক হচ্ছে না। ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরীক্ষা দিতে পারছে। আর যে কোনো বিষয়ে শিক্ষাদানের জন্যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষকরা যেনো তাদের জন্যে অপেক্ষা করছে।

সেক্ষেত্রে একটু কষ্ট করে ক্লিক করলেই তিনি শেখানো শুরু করে দেবেন। ফলে শিক্ষা হচ্ছে স্থান-কাল-পাত্রের ঊর্ধ্বে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে শিক্ষার্থীরা শুধু পাঠ্যবই পড়ে শিখছে না; এখানে শেখার উৎস হলো বহুমাত্রিক। জ্ঞান আহরণের জন্যে বর্তমানে ইন্টারনেটে অজস্র ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখান থেকে ইচ্ছেমতো শেখার সুযোগ রয়েছে। এই ধরনের ওয়েবসাইট হলো :

www.prokashitcare.com

www.khanacademy.org

www.10minuteschool.com

www.w3school.com

এছাড়াও বর্তমানে পড়ালেখার জন্যে বিভিন্ন ধরনের ই-লার্নিং টিউটোরিয়াল চালু হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই পছন্দের বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। এদের কিছু সার্ভিস বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

যেমন বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জনপ্রিয় সাইট রাফখাতা এবং আইসিটি শিক্ষার জনপ্রিয় সাইট ডব্লিউ ডব্লিউ আইসিটি শিক্ষা ডটকম। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কোর্সসমূহ নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে অনলাইনে করার সুযোগ দেয়। ফলে ঘরে বসে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ডিগ্রি অর্জন করা যায়। ই-লার্নিং সাধারণত অনলাইন নির্দিষ্ট কোর্স ডিগ্রি কিংবা প্রোগ্রাম শিক্ষায় বেশি ব্যবহৃত হয়।

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের জন্যে আশীর্বাদস্বরূপ, যা ব্যবহার করে তারা ঘরে বসে নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে। শিক্ষার্থীকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আইসিটির বহুমুখি ব্যবহার, হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে। শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ঘরে বসেই আহরণ করা যায় এবং বিভিন্ন লাইব্রেরির বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করা যায়। তাই বলা যায় শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই।

সাহারা সিদ্দিকা : শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান বিভাগ, প্রথম বর্ষ, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়