সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩, ০০:০০

এক নজরে শাহরাস্তি
অনলাইন ডেস্ক

শাহরাস্তি উপজেলা বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

অবস্থান ও আয়তন : শাহরাস্তি উপজেলার উত্তরে কচুয়া উপজেলা, দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা ও নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলা, পূর্বে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলা, লাকসাম উপজেলা ও বরুড়া উপজেলা, পশ্চিমে হাজীগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলার আয়তন ১৫৪.৮৩ বর্গ কিলোমিটার (৩৮,২৫৫ একর)।

প্রশাসনিক এলাকা : শাহরাস্তি উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে।

একমাত্র পৌরসভা : শাহরাস্তি পৌরসভা।

ইউনিয়নসমূহ : ১নং টামটা উত্তর, ২নং টামটা দক্ষিণ, ৩নং মেহের উত্তর, ৪নং মেহের দক্ষিণ, ৫নং রায়শ্রী উত্তর, ৬নং রায়শ্রী দক্ষিণ, ৭নং সূচীপাড়া উত্তর, ৮নং সূচীপাড়া দক্ষিণ, ৯নং চিতোষী পূর্ব, ১০নং চিতোষী পশ্চিম।

ইতিহাস : ১৯৮৩ সালে তৎকালীন আইজি মোঃ হোসাইন আহাম্মদ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. এম. এ. সাত্তারের প্রচেষ্টায় হাজীগঞ্জ থানা/উপজেলার পূর্ব অংশ নিয়ে শাহরাস্তি উপজেলার যাত্রা শুরু হয়। ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে সৃষ্ট এ উপজেলা। বাংলাদেশে আগত ৩৬০ জন আউলিয়ার মধ্যে হযরত শাহরাস্তি (রহ.)-এর মাজার এখানে অবস্থিত। এতে উক্ত উপজেলার সাধারণ মানুষ এ উপজেলার নাম হযরত শাহরাস্তি (রহ.)-এর নামানুসারে করার সমর্থন দেন। সেই থেকে এই উপজেলার শাহরাস্তি নামকরণ করা হয়।

জনসংখ্যার উপাত্ত : ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী শাহরাস্তি উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ১১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ০৬ হাজার ৭০০ জন এবং মহিলা ১লাখ ২২ হাজার ৪১৮ জন। মোট পরিবার ৪৬,১৩৯টি। এখানকার বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ১.১৫%।

শিক্ষা : ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী শাহরাস্তি উপজেলার সাক্ষরতার হার ৬২.৭%।

শিক্ষা বিষয়ক তথ্য : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০১টি, জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ৩টি, উচ্চ বিদ্যালয় (সহশিক্ষা) ৩২টি, উচ্চ বিদ্যালয় (বালিকা) ২টি, দাখিল মাদ্রাসা ১০টি, আলিম মাদ্রাসা ৪টি, ফাজিল মাদ্রাসা ৫টি, কামিল মাদ্রাসা ১টি, কলেজ (সহপাঠ) ৪টি ও কলেজ (বালিকা) ১টি।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মেহের ডিগ্রি কলেজ, সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজ, করফুলেন্নেছা সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসা, কাঁকৈরতলা গোলাম কিবরিয়া দাখিল মাদ্রাসা, নিজমেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়ারুক রহমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মেহার উচ্চ বিদ্যালয়, পঞ্চগ্রাম আজিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, সূয়াপাড়া গোলাম কিবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, রাগৈ উচ্চ বিদ্যালয়, খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজ, টামটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, বলশীদ হাজী আকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়, উনকিলা উচ্চ বিদ্যালয়, বেরনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়, খেড়িহর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, উঘারিয়া ইউ. সি. উচ্চ বিদ্যালয়, দেবকরা মারগুবা-ড.শহীদুল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, চিতোষী আর এন্ড এম উচ্চ বিদ্যালয়, বানিয়াচোঁ জে বি উচ্চ বিদ্যালয়, বিজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়, ফটিকখিরা এস এ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মনিরা আজিম একাডেমী, চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়, ধামরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ইছাপুরা উচ্চ বিদ্যালয়, পঞ্চনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, শাহরাস্তি চিশতীয়া আলিম মাদ্রাসা, শাহরাস্তি মডেল স্কুল, বাদিয়া এম হক উচ্চ বিদ্যালয়, শাহরাস্তি বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, হোসেনপুর নুরানি ক্যাডেট মাদ্রাসা ইত্যাদি।

দর্শনীয় স্থান : কাদরা ইংরেজ বাড়ি, হযরত শাহরাস্তি (রহঃ) মাজার, শাহরাস্তি মাজার সংলগ্ন দিঘি, নাটেশ্বর রায়ের দিঘি, শ্রী শ্রী মেহার কালীবাড়ি, নাওড়া মঠ ও দিঘি, সাহাপুর রাজবাড়ি, ঘুঘুশাল মনবাগান, খিলা বাজার ব্রীজ, উঘারিয়া অষ্টগ্রাম কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, চিখটিয়া ব্রীজ, রাগৈ মসজিদ, শাহরাস্তি (রহঃ) মাজার জামে মসজিদ, নোয়াগাঁও ঐতিহাসিক বড়বাড়ি জামে মসজিদ, ডাকাতিয়া নদী, নুনিয়া ঈদগাহ ময়দান, খেয়াঘাট ক্যাফে, রিভার ভিউ ক্যাফে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব : রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান মাননীয় সংসদ সদস্য (চাঁদপুর-০৫); ড. এম এ সাত্তার, পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব, বেইস (এনজিও)-এর প্রতিষ্ঠাতা; হোসাইন আহাম্মদ, সাবেক আইজি, বাংলাদেশ পুলিশ; রৌশন আরা বেগম, বাংলাদেশের প্রথম নারী পুলিশ সুপার (এসপি) ও পরবর্তীতে অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ; আবদুল ওয়াদুদ খান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সাবেক সাংসদ; এস ডি রুবেল, জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী; মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বীর উত্তম; ফরিদ উল্লা চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান; দেলোয়ার হোসেন মিয়াজি, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।

জনপ্রতিনিধি : সংসদীয় আসন জাতীয় নির্বাচনী এলাকা ২৬৪ চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ উপজেলা এবং শাহরাস্তি উপজেলা) রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই এলাকাটি পূর্বে কুমিল্লা-২৩ সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলা থেকে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বর্তমান কুমিল্লা জেলায় বিভক্ত হয়ে যাওয়ার সময় এটি সৃষ্টি হয়।

তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়