প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ০০:০০
১৯৪৬ সালের ১০ অক্টোবর কোজাগরি লক্ষ্মীপূজার দিন নোয়াখালীতে ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয়। পাশর্^বর্তী চাঁদপুরেও এ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হয়, ৪ সপ্তাহব্যাপী এ দাঙ্গায় ৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। অসংখ্য মানুষ ধর্মান্তরিত ও বাস্তুহারা হন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে ৭ নভেম্বর মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালীর চৌমুহনীতে আসেন। শান্তি স্থাপনে তিনি চারমাস পায়ে হেঁটে নোয়াখালী ও চাঁদপুরের ৪৯টি গ্রাম পরিদর্শন করেন। গান্ধী চাঁদপুরের হাইমচরে আসেন ’৪৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। ১ মার্চ পর্যন্ত তিনি এখানে ছিলেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হাইমচরে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ দু নেতার সাক্ষাৎ নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।
নোয়াখালীর পর ২৭ অক্টোবর থেকে বিহারে ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয়। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মুসলমান কর্তৃক হিন্দুরা প্রাণ হারান। অন্যদিকে, নোয়াখালীর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ বিহারে হিন্দুরা মুসলমান হত্যা শুরু করে। বিহারে বছরজুড়ে ছোট ছোট দাঙ্গা চললেও অক্টোবরের দাঙ্গা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার ভাষ্যে, এ দাঙ্গায় ৭৫০০ থেকে ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। মহাত্মা গান্ধীর নোয়াখালীতে যাওয়াকে মুসলিম লীগ সমর্থকরা ভালো চোখে দেখেনি। তাদের ধারণা, নোয়াখালীতে হিন্দুদের প্রাণহানি হয়েছে বলে গান্ধী সেখানে গেছেন, মুসলিম বলে তিনি বিহারে আসেননি। যদিও এ চিন্তা পক্ষপাতদুষ্ট ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল হকের সাক্ষাৎকারের বিষয়টি সহজ ছিল না। মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালীতে শান্তিস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন। বিভিন্ন প্রার্থনা সভায় তিনি হযরত মোহাম্মদ (সঃ)-এর বাণী উদ্ধৃত করতেন। এ নিয়ে বাঁধে বিপত্তি। মুসলিম লীগ দাবি করে, মহাত্মা গান্ধী ইসলামের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন। তারা গান্ধীর সমালোচনায় মুখর হন এবং নোয়াখালী থেকে গান্ধীর বিতাড়ন দাবি করেন। জবাবে গান্ধী বলেছেন, কোনো ধর্মের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করেননি। তিনি জনসাধারণকে নবী মহম্মদের বাণী উল্লেখ করে প্রীতির মনোভাব নিয়ে বসবাস করতে বলেছেন।
ফজলুল হকও রাজনৈতিক কারণে মহাত্মা গান্ধীর নোয়াখালী অবস্থানের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন। ১৯৪৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার জনসভায় তিনি বলেন, ‘নোয়াখালিতে মহাত্মা গান্ধীর অবস্থান ইসলামের প্রভূত ক্ষতি সাধন করেছে। একজন অমুসলিম হিসেবে তাঁর ইসলামের বাণী প্রচার করা উচিত নয়। তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পরিবর্তে এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি করেছেন।’ তাই দ্রুত নোয়াখালী থেকে মহাত্মা গান্ধীকে চলে যেতে আহ্বান জানান তিনি। ফজলুল হকের এ বক্তব্য পরদিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মহাত্মা গান্ধী তাঁর মন্তব্য পড়ে ব্যথিত হন। পরে পত্রিকায় বিবৃতি পাঠিয়ে তিনি ফজলুল হকের মন্তব্যের জবাব দেন।
‘মোহনদাস : এ ট্রু স্টোরি অব এ ম্যান, হিজ পিপল এন্ড এমফায়ার’ গ্রন্থে রাজমোহন গান্ধী লিখেছেন, ফজলুল হক বলেছেন যদি মহাত্মা গান্ধী বরিশাল আসেন তবে তাঁকে খালের পানিতে ফেলে দিবেন। ইতিহাসবিদ সালাহউদ্দীন আহমদের লেখাসূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার জনসভায় ফজলুল হক মহাত্মা গান্ধীকে ‘গান্ধী পোকা’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন। এ সম্পর্কে গান্ধী অবগত ছিলেন। যদিও ফজলুল হক পরে এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, এমন বিরোধী অবস্থানের কারণে হাইমচরে মহাত্মা গান্ধী-ফজলুল হকের সাক্ষাৎ সহজ বিষয় ছিল না। মহাত্মা গান্ধীর বিবৃতি পাঠ করে ফজলুল হকও বিবৃতি দেন। তিনি গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎপূর্বক সকল ভুল ধারণা দূর করতে আগ্রহী হন। ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে তিনি মহাত্মা গান্ধীর কাছে টেলিগ্রাম পাঠান। তিনি লিখেন, মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে অশ্রদ্ধা বা অপমানসূচক শব্দ ব্যবহার করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। একই সাথে ফজলুল হক তাঁর বক্তব্যও স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন : ‘চিন্তা ও কর্মে খোলা মনে চলা আমার জীবনের মূলনীতি। তাই কুমিল্লার ভাষণে নোয়াখালিতে আপনার অবস্থান সম্পর্কে যা ভেবেছিলাম তা-ই শ্রোতাদের কাছে বলেছি। আমি এখনও দৃঢ়ভাবে মনে করি, যখন বিহারে সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হয় তখন আপনার পক্ষে নোয়াখালি যাওয়া মস্ত বড়ো ত্রুটি হয়েছে। নোয়াখালির সংখ্যালঘুরা বিহারের সংখ্যালঘুদের মতো তত বিপন্ন নয়। সুতরাং মানবতাবোধ দাবি জানায়, সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য নোয়াখালিতে ছুটে যাবার পূর্বে আপনার বিহারের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা উচিত ছিল।’ এ টেলিগ্রামে ফজলুল হক মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করার অনুমতি চান।
২৬ ফেব্রুয়ারি ফজলুল হক কলকাতা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি গান্ধীর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। তিনি জিপে চড়ে এসেছিলেন। গবেষক অমলেন্দু দে ২৮ ফেব্রুয়ারির হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড সূত্রে জানান, ‘বেলা তিনটায় এই দুই নেতার সাক্ষাৎকার ঘটে। ফজলুল হকের গায়ে পাঞ্জাবি, পায়জামা, মাথায় ফেজ টুপি ও পায়ে পাম্পসু ছিল। তিনি মহাত্মা গান্ধীর আবাসস্থলে এসে পৌঁছোনোর পর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। ফজলুল হক মহাত্মা কুটিরে প্রবেশ করবার আগে জুতা খুলে বাইরে রাখেন। তাঁরা ৬৮ মিনিট একটানা আলোচনা করেন।’ মহাত্মা গান্ধী-ফজলুল হক আলোচনার সময় খুব বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন না। সুকুমার রায় তাঁর ‘নোয়াখালীতে মহাত্মা’ গ্রন্থে জানিয়েছেন, ‘২৭ ফেব্রুয়ারি অপরাহ্নে বাঙ্গালার ভূতপূর্ব্ব প্রধানমন্ত্রী মিঃ এ কে ফজলুল হক গান্ধীজীর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সত্তর মিনিট ধরিয়া তাঁহার সহিত আলোচনা করেন। আলোচনার সময় গান্ধীজীর সেক্রেটারী শ্রীনির্মল বসু ও হক সাহেবের তিন সাথী উপস্থিত ছিলেন।’
অন্যদিকে ‘মহাত্মা গান্ধী- দ্য লাস্ট ফেজ’ গ্রন্থে বলা হয়েছে : ‘ফজলুল হক যখন তাঁর চারসঙ্গী নিয়ে ঘরে এলেন, তখন গান্ধীজী ঘরে ছিলেন না।...সেদিন আবহাওয়া গরম ছিল। ফজলুল হক ঘামছিলেন। গান্ধীজীর সোফায় বসে শ্বাসকষ্ট ঠিক করে তিনি নিজেই হাতপাখা নিয়ে বাতাস করতে লাগলেন।’
মহাত্মা গান্ধী-ফজলুল হকের সাক্ষাৎ-ক্ষণের একটি ছবি হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। ওই ছবিতে দেখা যায়, একটি টিনের ঘরে বিছানায় মহাত্মা গান্ধী ও ফজলুল হক উপবিষ্ট হয়ে কথা বলছেন। বিছানার সম্মুখের খালিস্থানে তিনজন বসে আছেন। তারা নিবিষ্টমনে দুজনের আলোচনা শুনছেন।
আলোচনা শেষে ফজলুল হক বের হলে সাংবাদিকেরা তাঁর ছবি তোলেন। সেসময় তাঁকে আনন্দিত ও শান্ত দেখাচ্ছিল। আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি রিপোর্টারদের কিছু বলেননি। তবে শীর্ষ এ ব্যক্তির আলোচনার বর্ণনা ‘দ্য কালেক্টেড ওয়ার্কস অব মহাত্মা গান্ধী’র ৯৪তম খণ্ডে পাওয়া যায়। দুর্লভ হওয়ায় এ আলোচনাটি অনুবাদ করে এখানে উদ্ধৃত করা হলো :
মহাত্মা গান্ধী : আহা, দাঁড়ালেন কেন। আপনার সাথে শেষবার যখন দেখা হয়েছিলো, আপনি তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন!
ফজলুল হক : আমি আপনার সাথে আরও খোলাখুলিভাবে কথা বলতে চাই। আপনি কথা লুকিয়ে রেখে যদি অন্য কথা বলেন তাহলে তো আপনার সাথে কথা বলার কোনো মানে নেই।
গান্ধীজী শেরে বাংলার কথা মানলেন। ফজলুল হক কথা বলা শুরু করলেন : গান্ধীজী বিহারে যাননি। নোয়াখালির থেকেও বিহারে তাঁর প্রয়োজন বেশি ছিলো। নোয়াখালির মুসলমানগণ তুলনামূলকভাবে মারমুখী নয়। বরং তারা পুলিশের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। হিন্দু পুলিশ অফিসাররা নির্দোষ মুসলমানদের লাঞ্ছিত করছে, এমনকি তাদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসাচ্ছে। সেসব মামলাগুলো তুলে দেওয়া উচিত। মুসলমানরা অপরাধী নয়, নারীদের তুলে নেওয়ার মত লোক তারা নয়। ইসলাম কখনও এইসব কাজের শিক্ষা দেয়নি।
ইসলামের এইসব নৈতিক শিক্ষার বিষয়ে গান্ধীজী আবারও সহমত পোষণ করলেন।
ফজলুল হক : খুব অল্প কয়েকজন মানুষ ইসলাম ধর্ম বোঝেন।...একটি মুসলিম রাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের প্রতি সংখ্যাগুরুদের একটি বিশেষ দায়িত্ব আছে। ...
মহাত্মা গান্ধী (হালকা ঠাট্টার সুরে) : তো, আমি যদি বরিশালে আসি, তাহলে আমার জন্যে কেবল খাল আছে, তাই না?
ফজলুল হক : না না, মহাত্মাজী, আপনি সবসময়ই আসতে পারেন। এটা কেবল রসিকতা ছিলো। আমি কখনও রসিকতা ছেড়ে কথা বলি না। এমনকি আমি আমার আব্বাকেও ছাড় দিই না। এটাই আমার স্বভাব।
গান্ধীজী বলেন, তিনি পাকিস্তানের মানে এবং প্রয়োগ নিয়ে ভেবে দেখার জন্যে জিন্নাহের সাথে কথা বলেছিলেন। তার ফর্মুলাটি মুসলিম লীগ নেতা ও দেশের আগে ছিলো। তার উদ্বেগ ছিলো যে তার প্রস্তাব এখনও প্রস্তাবের পর্যায়েই আছে। অপরাধের মামলাসমূহ তুলে নেয়া ছিলো বাংলার সরকারের কাজ। বিহার প্রসঙ্গে তিনি বললেন : আমি হয়তো সেখানে যাবো। কিন্তু আপনাদের কথায় নয়।...তিনি বললেন, যদি তারা কথা দেন, নোয়াখালীর সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে- তবে তিনি এই মুহূর্তে বাংলা ত্যাগ করবেন। কিন্তু ফজলুল হক কি কথা দিতে পারবেন?
এটা নিয়ে ফজলুল হক সোজা কোনো উত্তর দিলেন না। এর বদলে তিনি বাংলায় কোয়ালিশন সরকারের কথা বলা শুরু করলেন। যেন এটাই বাংলার রোগ মুক্তির উপশম!...
গান্ধীজী : আপনার সাথে সোহরাওয়ার্দীর ঝগড়াটা কী নিয়ে? আমার কাছে এটা ভালো লাগে না।
কিন্তু ফজলুল হক বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন এবং এর পরিবর্তে বললেন, তাঁর দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা পেশা ও অর্থের অভাব। গান্ধীজী তার অমিতব্যয়ী স্বভাবের কথা স্মরণ করিয়ে তাকে হাসিমুখে বিদায় দিলেন।
গান্ধীর সঙ্গে আলোচনার পর ফজলুল হক নিজের ভুল বুঝতে পারেন। পরবর্তী কার্যক্রমে এ সাক্ষাতের প্রভাব পড়ে। গান্ধীজীর সঙ্গে সাক্ষাতের দিনে ফজলুল হক চাঁদপুরের জনসভায় বক্তৃতা করেন। এরপর ৪ মার্চ ময়মনসিংহে যান। সেখানে আইনজীবীদের সভায় বক্তব্যকালে নোয়াখালী-ত্রিপুরায় মহাত্মা গান্ধীর কার্যক্রমের ব্যাপক প্রশংসা করেন। শুধু তাই নয়, তিনি আজীবন হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি রক্ষায় ভূমিকা রাখবেন বলে ঘোষণা দেন।
ঐতিহাসিক কারণেই গান্ধী-ফজলুল হক সাক্ষাৎকার পর্বটি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, সাম্প্রদায়িক কারণে দু সম্প্রদায় যখন মুখোমুখি, তখন ফজলুল হকের মতো বরেণ্য নেতাও রাজনৈতিক কারণে মহাত্মা গান্ধীর কার্যক্রম নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য রাখেন। অন্যদিকে মহাত্মা গান্ধী সম্প্রীতির জন্যে কাজ করছিলেন। ফলে ফজলুল হক তাঁর অবস্থানে অটল থাকলে সম্প্রীতির পুনঃস্থাপন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হতো। গান্ধীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সাক্ষাতের পর ফজলুল হক তাঁর ভুল ধারণা দ্রুত সংশোধনের উদ্যোগ নেন। তাঁর পরবর্তী ভাষণগুলো এর প্রমাণ রাখে। অন্যদিকে মহাত্মা গান্ধীও নোয়াখালীর কার্যক্রম শেষে সম্প্রীতি স্থাপনের লক্ষ্যে বিহারে যান।
সূত্র :
১. সুকুমার রায়, নোয়াখালীতে মহাত্মা, ওরিয়েন্ট বুক কোম্পানি, প্রথম প্রকাশ আগস্ট ১৯৪৭;
২. মহাত্মা গান্ধীর জীবন কালক্রম- ১৯৪৭, গান্ধী সার্ভ ফাউন্ডেশন;
৩. অমলেন্দু দে, পাকিস্তান প্রস্তাব ও ফজলুল হক, পারুল প্রকাশনী, পুনর্মুদ্রণ ২০১৮;
৪. রাজমোহন গান্ধী, ‘মোহনদাস : এ ট্রু স্টোরি অব এ ম্যান, হিজ পিপল এন্ড এমফায়ার’ পেঙ্গুইন বুকস, ২০০৭;
৫. মহাত্মা গান্ধী- দ্য লাস্ট ফেজ, ভলিয়মণ্ড১, নবজীবন পাবলিশিং হাউজ, প্রকাশ ১৯৫৬;
৬. দ্য কালেক্টেড ওয়ার্কস অব মহাত্মা গান্ধী, ৯৪ খণ্ড।