প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ০০:০০
প্রতিদিন ভিক্ষা করলেও দেড় দুই হাজার টাকা পেতাম। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে ভিক্ষাও করতে সাহস পাচ্ছি না। দুঃখের সাথে এই কথাগুলো বললেন ২০০৭ সালে পা দিয়ে লিখে দাখিল পাস করা ফরিদগঞ্জের শারীরিক প্রতিবন্ধী হতদরিদ্র সেই জহিরুল ইসলাম। জহিরের জীবন সংগ্রাম নিয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে সম্পাদকীয়সহ একাধিক সংবাদ ছাপা হয়েছিল। একসময় এই প্রতিবন্ধী জহিরের মেধার জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোঃ ছালেউদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করেছিলেন।
গত কয়েক মাসের প্রতিবন্ধী ভাতা না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন জহির। প্রয়াত মিছির আলীর ছেলে জহিরের গ্রামের বাড়ি হচ্ছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর আলোনিয়া গ্রামের নূর নগর এলাকায়।
প্রতি মাসে ৫০ টাকার বিনিময়ে বাড়ির মক্তবে ২৫ শিশু শিক্ষার্থীকে আরবি পড়িয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন জহির। গেলো ঈদ উপলক্ষে টাকার অভাবে স্ত্রী আর একমাত্র পুত্র সন্তানের জন্যে চাহিদা মতো কিছু ক্রয় করতে না পারায় হতাশার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছেন জহির। বসবাস করছেন জরাজীর্ণ একটি টিনশেড ঘরে। এক সময় জহিরের জীবন সংগ্রাম নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় অনেক লেখালেখি করেছেন সাংবাদিকরা।
জহিরের সাথে তার মোবাইল ফোন নাম্বার ০১৮৫৫৪৪৬৩৬৬-এ কথা বললে জহির জানান, ৬ ভাই ৩ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। সবাই যার যার সংসার নিয়ে কোনোরকম চলছে। ভাই-বোনের মধ্যে একমাত্র জহির শারীরিক প্রতিবন্ধী। অন্যের সাহায্য ছাড়া তার মুখে নিজ হাতে কোনো খাবারও তুলে নিতে পারেন না। তার মা মারা যাওয়ার পর জহিরের করুণ অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজন জহিরকে বিয়ে করায়। বর্তমানে তার ৫ বছরের একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু নিত্য অভাব অনটনের মধ্যে তার স্বাভাবিক জীবন-যাপন নিয়ে মহাবিপাকে আছে শারীরিক প্রতিবন্ধী জহিরুল ইসলাম।