সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৩, ০০:০০

হ্যান্ডবলে ঐতিহাসিক দিন
অনলাইন ডেস্ক

গতকাল বুধবার শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভারতকে ৪৬-৪৩ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সাউথ-সেন্ট্রাল এশিয়া জোন-২ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ ইয়ুথ দল খেলবে এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে। জাতীয় ও বয়সভিত্তিক কোনো পর্যায়ে কখনোই এর আগে ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।

হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ চিৎকার। গ্যালারিতে ছিল দর্শকের উন্মাদনা। মোসাম্মৎ মারফি, রুনা লায়লাদের গলায় ছিল সোনালি পদক। হাতে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। উচ্ছ্বসিত চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ ডালিয়া আক্তার বলেন, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে বলেছিলাম চমক দেখাবে আমার দল। সেটাই করে দেখিয়েছে তারা। মেয়েদের এমন পারফরম্যান্সে আমি অনেক খুশি। আমার খেলোয়াড়ি জীবনে কখনো ভারতকে হারাতে পারিনি। কিন্তু প্রথমবার কোচ হয়ে সেই অর্জনে নাম লেখাতে পেরেছি। ভারতকে যে কোনো খেলায় হারানো কঠিন। হ্যান্ডবলে তো আরো কঠিন। সেই কঠিন কাজ আমার মেয়েরা করে দেখিয়েছি।’

পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলেছেন বাংলাদেশ ইয়ুথ টিমের অধিনায়ক মারফি। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক বলেন, ‘আমি অনেক খুশি। কোচ, খেলোয়াড়, কর্মকর্তা সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই আমাদের অনেক সমর্থন করেছেন। আজ অনেক দর্শক মাঠে এসে আমাদের সমর্থন দিয়েছেন।’

ইয়ুথ দলের ফাইনালটা হয়েছে ফাইনালের মতোই। প্রথমার্ধে ২০-২০ গোলে সমতায় ছিল দুই দল। বেশিরভাগ সময় পেন্ডুলামের মতো দুলেছে ম্যাচের ভাগ্য। দু’দলের তীব্র লড়াইয়ে একবার ভারত এগিয়ে যায় তো; গোল করে আবারো সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ১ ঘণ্টার এই ম্যাচে প্রথমার্ধে ২০ মিনিটের সময় ১৬-১০ গোলে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক মারফি ও রুনা লায়লারা।

খেলার ৪৪তম মিনিটে লাল কার্ডের শাস্তিতে মাঠ ছাড়েন ভারতের প্রাধান্য বালাসো মানে। ওই সময় ৬ জনের দলে পরিণত হয় ভারত। বাংলাদেশের খেলোয়াড় ছিল ৭ জন। ওই সময়ও ম্যাচে পরিস্কার ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ভারত ৩৩-২৮ গোলে। ৫০তম মিনিটে গিয়ে ভারতকে একেবারে চেপে ধরেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এ সময় গোলের পর গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনে স্বাগতিকরা। ৫৫তম মিনিটে গিয়ে টানা তিন হলুদ কার্ড দেখে কোর্ট ছাড়েন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গোলদাতা অধিনায়ক মারফি (১৫ গোল)। তখনো ম্যাচে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৫ গোল করেন অধিনায়ক মারফি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

ইয়ুথ দলের মতো পারফরম্যান্স করতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জুনিয়র দল। এই বিভাগের ফাইনালে ভারত ৪৮-১৭ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সভাপতি নুরুল ফজল বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর, আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়