বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২২, ০০:০০

হাজীগঞ্জে লাখ টাকায় ১৩ মাসের সন্তান দত্তক
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

লাখ টাকায় সন্তানকে দত্তক দিলেন বাবা-মা। ২ কন্যা সন্তানের মধ্যে ১৩ মাসের ছোট সন্তানকে দত্তক দিয়ে এখন হাঁসফাঁস করছেন এই বাবা- মা। দত্তক দেয়া পরিবার থেকে যে টাকা পেয়েছেন সেই টাকা দিয়ে নিজের চিকিৎসা আর দেনা পরিশোধ করবেন বলে চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান এই দম্পতি। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের পৌর ৩নং ওয়ার্ডের ধেররা-বিলওয়াই গ্রামের ইউনুস মজুমদার বাড়ির। যুবায়ের আক্তার নামের শিশুটি এই বাড়ির বশির-আসমা দম্পতির সন্তান। গত সোমবার দুপুরে এফিডেভিটের মাধ্যেমে রাজধানীর একটি পরিবারের কাছে সন্তান দত্তক দিয়েছেন। দত্তক নেয়া পরিবারটি তাদেরকে খুশি হয়ে ১ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানান শিশুটির বাবা মোঃ বশির।

মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে শিশুটির বাড়িতে গেলে বাবা মোঃ বশির জানান, ২০১৬ সালে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চাপায় গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর চিকিৎসা করতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। টাকার অভাবে চিকিৎসা এবং ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। এছাড়াও তিনি অসুস্থতার কারণে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।

মোঃ বশির আরো জানান, আমার সাড়ে তিন বছর ও তের মাস বয়সী দুটি কন্যা শিশু রয়েছে। টাকার অভাবে আমার চিকিৎসা, ঋণ পরিশোধ ও বাচ্চাদের খাবার কিনতে পারছি না। এদিকে অসুস্থতার কারণে কাজও করতে পারছি না। বাড়িতে বাবার পৈত্রিক সম্পত্তিও নানান জটিলটায় বিক্রি করতে পারছি না। তাই ছোট মেয়েকে দত্তক দিয়ে দিয়েছি। মেয়েকে আদালতের মাধ্যমে দত্তক দিয়েছি। তবে যারা দত্তক নিয়েছে তারা আমাকে ১ লাখ টাকা দিয়েছে।

শিশুটির মা আছমা আক্তার জানান, নাড়ি ছেঁড়া ধন মেয়ের জন্য বুকটা ফেটে যায়। কী করবো, স্বামীর চিকিৎসা দরকার, দেনা পরিশোধ দরকার, আবার স্বামী সুস্থ হলে কাজ কর্মে যেতে পারবে, এমন বিষয়গুলো ভেবে মেয়েকে দিয়েছি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার জানান, পৌরসভার প্যানেল মেয়রকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। এছাড়াও ওসি সাহবের সাথে কথা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়