সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় খালু কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
  •   সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় ইমামকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ!
  •   এনআইডিতে ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
  •   জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি
  •   নিখোঁজের একদিন পর বৃদ্ধের মরদেহ মিললো পুকুরে

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে সরকারি রাস্তার ইট তুলে নেয়ার অভিযোগ

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥
ফরিদগঞ্জে প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে সরকারি রাস্তার ইট তুলে নেয়ার অভিযোগ

ফরিদগঞ্জে সরকারিভাবে নির্মিত রাস্তার ইট খুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জন চলাচলের পথ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এ কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষে মনির হোসেন বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, দুই বছর আগে উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মিজি বাড়ি সড়কটি সরকারিভাবে ইট দিয়ে সলিং করা হয়। ফলে এই এলাকার মানুষজনের পণ্য পরিবহন, যাতায়াতসহ সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই গিয়াস, নাছিরসহ কিছু লোকজন রাস্তাটির একাধিক অংশ থেকে ইট তুলে নিয়ে যায়। কোনো কোনো অংশে ইটসহ রাস্তা ভেঙ্গে পুকুরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষে মনির হোসেন বলেন, আমাদের পৈত্রিক এবং ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯১ সালে রাস্তা নির্মাণকালে প্রতিপক্ষের সাথে একটি সমঝোতা চুক্তিও করা হয়েছিল। রাস্তাটি আমাদের হওয়া সত্ত্বেও প্রতিপক্ষের লোকজন রাস্তাটি ব্যবহার করে। এতে আমরা কখনোই প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করিনি। দুই বছর পূর্বে সরকারিভাবে সড়কটি সলিং করা হয় কিন্তু রাতের অন্ধকারে তারা রাস্তার ইট তুলে নিয়ে, সাবল দিয়ে খুঁচিয়ে রাস্তার ভেঙ্গে চলাচলের পথ বন্ধের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত সোমবার আমরা এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। একই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তদের একজন শাহানারা বেগম বলেন, রাস্তার জায়গা আমাদের। ইট বন্যার সময় ভেসে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, রাস্তা নিয়ে ১৯৯১ সালে সালের ৫ মে উভয় পক্ষ স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। যাতে ৮ হাত প্রশস্ত এবং ৪৮ হাত লম্বা রাস্তার বিষয়টি সুষ্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। একই বিষয়ে ২০১১ সালের ২০ মার্চ ওই ইউনিয়নের তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকারের গ্রাম আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাস্তাটি মাপা শেষে পূর্বের চুক্তিনামা বহাল রাখেন। কিন্তু সরকারিভাবে করা ইটের সলিং করা রাস্তা থেকে ইট তুলে নেয়া হলো তা বোধগম্য নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই জুমায়েত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়