বুধবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ
  •   জন্মান্ধ হয়েও বারো বছর বয়সে হলেন হাফেজ
  •   বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য
  •   নামাজ পড়তে সুযোগ দেয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন সুরমা সুপার বাসের সুপারভাইজার জাহিদ
  •   চাঁবিপ্রবি’র ভিসি নাছিম আখতারকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

পাওনাদারকে হত্যা করতে গিয়ে দেনাদার নিজেই শ্রীঘরে

গোলাম মোস্তফা ॥
পাওনাদারকে হত্যা করতে গিয়ে দেনাদার নিজেই শ্রীঘরে

চাঁদপুরে পাওনাদারকে টাকা পরিশোধ না করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে নিজের জালে নিজে পেঁচিয়ে এখন শ্রীঘর তথা জেল হাজতে গিয়েছেন--এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেনাদার লিটন বেপারীর নেতৃত্বে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০টায় তার ছেলে তানজিল বেপারী, বিষ্ণুদী এলাকার মোস্তফা কামাল, নিউ ট্রাক রোড এলাকার আহমেদ সোহাগ জাহিদ ও লোধেরগাঁও গ্রামের মিজি বাড়ির মেহেদীসহ আরো বেশ ক'জন সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাওনাদার মতলব দক্ষিণ উপজেলার মাস্টার বাজার এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের (বর্তমান মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা) আইয়ুব আলীর ছেলে তৈয়ব আলী (৪৯)কে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে। আচমকা এ হামলায় সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।

ঘটনার বিষয়ে আহত তৈয়ব আলী জানান, মধ্য মৈশাদী এলাকার লিটন বেপারী আত্মীয়তার সূত্রে আমার কাছে থেকে ১১ লাখ টাকা হাওলাত হিসেবে নেয়। টাকা না দিয়ে সে টালবাহানা করতে থাকে। নানা প্রতিকূলতা পার করার পর এক পর্যায়ে সে প্রায় ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। এরপর বাকি ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা শুরু করে। বাকি টাকার জন্যে আমি তাগাদা দিলে দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এ অবস্থায় আমি আমার পাওনা টাকা বুঝে পেতে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় লিটন বেপারীসহ আরো দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে সিআর ২১১/২০২৪ মামলা দায়ের করি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লিটন বেপারীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর সে অপর আসামীদের নিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্যে আমাকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। আমি তাতে কোনো কর্ণপাত না করায় গত ৩ জুলাই দুপুরে আনুমানিক দুটার দিকে বিবাদী মোস্তফা কামালসহ সঙ্গীরা আদালত চত্বরে আমার ওপর হামলা চালায়। তখন এ ঘটনায় মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এরপর থেকে উল্লিখিত বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হতে থাকে। সেই থেকে তারা আমাকে হত্যার জন্যে বিভিন্ন ভাবে ফন্দি আঁটে। তাদের সেই ফন্দি অনুযায়ী গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক দশটার দিকে বাসস্ট্যান্ড ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্স সম্মুখে হামলা চালিয়ে আমার স্যামসাং এস-২৪ আল্ট্রা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট (যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ১৯ হাজার ৫শ’ টাকা) এবং নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার পর আমি অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকি। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনা শুনে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। পরে পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে লিটন বেপারী নিজের হাত নিজে কেটে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর তিনি উক্ত ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্যে থানায় গিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি সাজানো নাটক তৈরি করে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ টিম তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। আহত তৈয়ব আলী উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়