প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে ভিজিএফের চাল বিতরণকালে দুপক্ষের সংঘর্ষ ॥ পুলিশের ৪ রাউন্ড গুলি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ভিজিএফের চাল বিতরণকালে সাবেক এমপির অনুসারী ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় এমপির অনুসারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে এই ঘটনা ঘটে। অবশ্য পুলিশ কয়েক দফা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে পুুলিশ শর্টগান থেকে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এইচএম হারুনুর রশিদ তার দলীয় প্রতিপক্ষের কারণে অফিসে আসতে পারেননি। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ভিজিএফের চাল বিতরণের জন্যে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নির্ধারিত তারিখ ছিলো। সকালে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচএম হারুনুর রশিদ ইউপি কার্যালয়ে আসলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা তাবাচ্চুম মাস্টারের লোকজনও এসে হাজির হয়। এ সময় তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭/৮ জন আহত হন। পুলিশ পূর্ব থেকে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পর পুলিশ শর্টগান থেকে চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে চাল বিতরণ নির্বিঘ্ন করতে উভয় পক্ষকে জোরপূর্বক ইউনিয়ন কার্যালয় ছাড়তে বাধ্য করে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা জিএম হাসান তাবাচ্চুম বলেন, চেয়ারম্যান যাতে ভিজিএফ কার্ডের চাল নিয়ে কোনো অনিয়ম করতে না পারে সেজন্যে আমরা পরিষদে অবস্থান করছি। অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান এইচএম হারুনুর রশিদ বলেন, গত তিন মাস ধরে তারা আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে নানাভাবে বাধা প্রদান করছে। ভিজিএফ চালের কার্ডের একটি অংশও তারা নিয়ে গেছে। আমি সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণের জন্যে পুলিশ সুপার ও ইউএনও’র সহযোগিতা চেয়েছি।
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, চাল বিতরণের সময় ঝামেলা হতে পারে জেনে আমরা এখানে এসেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কাউকেই কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে দিবো না বলে চেষ্টা করেছি। সকলকে বের করে দিয়ে জনগণকে নির্বিঘ্নে চাল নেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন, চাল বিতরণের সময় ঝামেলা হতে পারে জেনে আমরা ফোর্স পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা চার রাউন্ড গুলি ছুড়েছি।