বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

লোডশেডিংয়ে নাকাল হাইমচরবাসী

সাজ্জাদ হোসেন রনি ॥
লোডশেডিংয়ে নাকাল হাইমচরবাসী

হাইমচরে পল্লী বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং জনজীবনকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। রোজাদারগণ পড়েছেন বিপাকে। ঘরে-বাইরে নেই শান্তি, সেহরি, ইফতার ও তারাবিতে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং, আর সকাল থেকে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে কাটা হয় গাছ। রোজাদার না রাতে ঘুমাতে পারছেন, না দিনে। সাহরি, ইফতার এবং তারাবিতেও নেই শান্তি।

২ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি দল বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে গাছ কাটার কাজ করছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাছ কাটার ফলে বিদ্যুতের লাইন সচল করা যায়নি। যার কারণে উপজেলার বিভিন্ন ঈদ মার্কেটগুলোতেও মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা শহিদুল ইসলাম জানান, গতরাতে সর্বমোট বিদ্যুৎ ছিল আড়াই ঘণ্টা। আমাদের ঘুমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে। সকালবেলা একটু ঘুমাবো তাও শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি। সকাল থেকে আবারও লোডশেডিং শুরু, এ সুযোগে এলাম ঈদের কেনাকাটা করতে। এখানেও শান্তিতে কেনাকাটা করা যাচ্ছে না। মাস শেষে আমরা ঠিকই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করি। কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাই এ ভোগান্তি আর কতদিন?

শাহী জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা রেদওয়ান হোসাইন জানান, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে সেহরি ও ইফতার ঠিকমতো করতে পারিনি। তারাবি কিংবা তাহাজ্জুদে একটু প্রশান্তি নেবো তাও সম্ভব হয় না। শুধু মাহে রমজান আসলেই কেন এমনটা হয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের প্রশ্ন।

স্থানীয় অটোচালক মোঃ রাকিবুল ইসলাম জানান, আমাদের রিজিক অন্বেষণের একমাত্র পথ এ অটোরিকশা। রাতে চার্জ না হওয়ায় দিনের বেলা অটোরিকশা নিয়ে বের হতে পারি না। ফলে দৈনন্দিন বাজার করা বন্ধ, ইফতারও করতে পারি না। ঈদের কেনাকাটাও করা হয়নি। সঠিক সময়ে আমাদেরকে বিদ্যুৎ দিলে আমরা দু’বেলা দুমুঠো খাবার খেয়ে বাঁচতে পারবো।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ হাইমচর সাবজোনাল অফিসের এজিএম হাফিজুর রহমান জানান, অতিরিক্ত গরম পড়লে লোডশেডিং বেড়ে যায়। ৩৩ কেবি লাইনে সমস্যা হওয়ায় দুদিন রাতের বেলা লোডশেডিং বেশি ছিল। আগামী দুদিন গাছ কাটার কারণে হয়তো লোডশেডিং থাকতে পারে। এরপর থেকে আশা করা যায় আর তেমন একটা লোডশেডিং হবে না। এরপরও যখন অতিরিক্ত লোডশেডিং হয় তখন আমাকে জানালে সাথে সাথেই আমি ব্যবস্থা নেবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়