প্রকাশ : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে বিশেষ কম্বিং অপারেশনে ৪১ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ
ছোট ফাঁদের কারেন্টজাল উৎপাদন এবং ওই জাল দিয়ে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু নিষিদ্ধ কারেন্টজাল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে জব্দ হলেও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থাগ্রহণ হয়নি। এসব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বহু বছর বহাল তবিয়তে রয়েছে।
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে বিভিন্ন ফোরামে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় কারেন্টজাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধে দাবি তোলা হয়। এসব দাবি সভা ও আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় সম্পদ ইলিশসহ ছোট মাছ ধ্বংসযজ্ঞে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য দপ্তর, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশ যৌথ বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে। এ সময় মেঘনা নদীর মিনি কক্সবাজার, সফরমালি অংশে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক করা হয় এবং মিনি কক্সবাজার অংশে ৬৫ লাখ মিটার নতুন কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ তানজিমুল ইসলাম জানান, নতুন কারেন্ট জালগুলো (৪১ বস্তা) মুন্সিগঞ্জ হতে বরিশাল জেলার হিজলাগামী ট্রলার হতে আটক করা হয়। পরবর্তীতে জব্দকৃত কারেন্ট জাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোঃ মেশকাতুল ইসলামের নির্দেশে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তির মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চীফ পেটি অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলামসহ নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের দল।