সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

মন মানে না, তাই ছুটে এসেছি বিজয় মেলায়

----------------যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ

অনলাইন ডেস্ক
মন মানে না, তাই ছুটে এসেছি বিজয় মেলায়

চাঁদপুরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৩২তম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। গতকাল ১০ ডিসেম্বর ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার তৃতীয় দিন। এদিন সাংস্কৃতিক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় পরপর দুটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। দর্শক ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সন্ধ্যায় নতুন কুঁড়ি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিজয় মেলার চেয়ারম্যান জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার লেঃ (অবঃ) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ। তিনি বলেন, উদ্বোধনী দিন আমি সকাল থেকে মেলা মাঠে উপস্থিত ছিলাম। দুপুরের পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ি। মূল অনুষ্ঠানে থাকতে না পারায় নিজের কাছে খারাপ লেগেছে। চিকিৎসক বলেছেন বিশ্রামে থাকতে। কিন্তু মন মানে না, তাই ছুটে এসেছি বিজয় মেলায়। ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আমাকে ভারত যেতে হচ্ছে। কেন না ১৬ ডিসেম্বর ভারতেও উদযাপন করা হয়। তাই ভারত সরকার আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমি না আসা পর্যন্ত আপনারা প্রতিদিন বিজয় মেলায় আসবেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। আমরা আগে বিজয় মেলায় প্রতিদিন যে দর্শক উপস্থিত থাকতেন তাকে আমরা পুরস্কৃত করতাম। কয়েক বছর সেটি বন্ধ ছিল। এ বছর আমরা সেই পুরস্কারটি দিবো। দেখবো কোন্ ব্যক্তিটি প্রতিদিন মেলা মাঠে উপস্থিত থাকেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অনেকে মা-বোন হারিয়েছে, আবার কেউ ভাই আর বাবাকে হারিয়েছে। এর মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। নির্বাচনে আপনারা স্বাধীনভাবে ভোট দিবেন। যদি কেউ বাধা দেয় সেখানে প্রতিহত করবেন। আমি আবারো আপনাদের বলবো, আমি ভারত থেকে না আসা পর্যন্ত বিজয় মেলায় আসবেন। আমরা ১৯৯২ সালে এ মেলা প্রতিষ্ঠা করেছি, তা আপনারা ধরে রাখবেন।

সন্ধ্যা ছয়টায় সাংস্কৃতিক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মুক্তা পীযূষের সার্বিক সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের শিল্পীরা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করে। বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করে আসমা, প্রখর, ফাহমী, অদিতি, লিজা, সানি, পুনম, জাহিদ, প্রথমা, সাবরিন, প্রত্ন, আকিবা, গৌরী, শুভশ্রী ও অর্পা।

রাতে সাংস্কৃতিক পরিষদের ব্যবস্থাপনায় আরও একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নতুন কুঁড়ি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাডঃ আবুল কালাম সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় নতুন কুঁড়ি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে ইভা, আফরিনা, ছোঁয়া, রিয়া, ইয়াসমিন, জুয়েল, শাকিল, হৃদয়, জিয়া, শাওন ও হাসান। সংগীত পরিবেশন করেন কবির মিজি, কাজল ও সোহাগী। বাঁশিতে ছিলেন বিল্লাল হোসেন শেখ। দুটি অনুষ্ঠান দর্শক-শ্রোতারা সানন্দে উপভোগ করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়