প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা-১১
অসাম্প্রদায়িকতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার সুনিশ্চিতে কাজ করা দরকার
------সুরাইয়া পারভীন
মতলবের এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুরাইয়া পারভীন বলেছেন, আমার বাবা একজন সৎ, সাহসী ও নির্ভীক মানুষ। তিনি একজন আদর্শ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি অনেকের জন্যেই অনুকরণীয় মানুষ। আমি গর্বিত, আমার বাবা দেশ ও জাতির মুক্তির জন্যে নিজের জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে, আমি একজন বীরের সন্তান। আমি সবসময় এমন একজন দেশের সৈনিকের সান্নিধ্যে থাকি, যিনি আমার বাবা। আমার বাবা বাংলাদেশের স্বাধীনতার একজন অকুতোভয় সৈনিক। এটা ভেবে আমি খুব আনন্দবোধ করি। তিনি বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে চাঁদপুর কণ্ঠে ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’ শিরোনামের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন এসব কথা।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?
সুরাইয়া পারভীন : আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন প্রধান। তাঁর পিতার নাম ফয়েজ উদ্দিন প্রধান, মাতার নাম ফাতেমা বেগম, সাং-শোভনকর্দী, ৫নং ওয়ার্ড, মতলব পৌরসভা, ডাকঘর-বরদিয়া, উপজেলা-মতলব দক্ষিণ, জেলা-চাঁদপুর। আমার বাবা চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার অন্তর্গত বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান হলো মতলব দক্ষিণ উপজেলার নাগদা, লালারহাটখোলা এবং বরদিয়া আড়ং বাজার।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?
সুরাইয়া পারভীন : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি খুব সম্মানিত বোধ করি। আমি গর্বিত, আমার বাবা দেশের জন্যে যুদ্ধ করেছেন। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে, আমি সব সময় এমন একজন বীরের সান্নিধ্যে থাকি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
সুরাইয়া পারভীন : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে সর্বপ্রথমে যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার জন্যে যুদ্ধ করেছিল তা ধরে রাখতে অসাম্প্রদায়িকতা ও সামাজিক ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত করতে কাজ করা দরকার। সব ধরনের অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, দেশের কল্যাণে নিবেদিত হওয়া, দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসা এবং তাদের জন্যে কাজ করা উচিত।
সুরাইয়া পারভীন আইসিসিডিডিআরবিতে ২০ বছর যাবৎ রিচার্জ অ্যাসিটেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর এক মেয়ে লুবাবা জামান। সে ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তাঁর স্বামী এসএম আসাদুজ্জামান একজন ব্যবসায়ী।