প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২২, ০০:০০
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে চাঁদপুরে বিদ্যুতের পুরো লোড পাওয়া যাচ্ছে : পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান
বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও গত কদিন ধরে ছিলো ভয়াবহ লোডশেডিং। গতকাল মঙ্গলবার দিনের বেলায় এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং হয়েছে। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে অসহ্য গরমে শহরের অনেক এলাকার মানুষ বাসাবাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। চাঁদপুর শহরের বাইরে গ্রামগুলোতে বিদ্যুতের জন্যে হাহাকার চলছিলো। কোনো কোনো গ্রামের মানুষ সারাদিনেও এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ পায়নি। পাওয়ার প্লান্টে গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
|আরো খবর
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ৫ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে চাঁদপুরে বিদ্যুতের পুরো লোড পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ওই সময়ের পর থেকে এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৫২ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। আর জ্বালানি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট গ্যাসের ব্যবহারের ৭০ ভাগই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটে এলএনজির (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) দাম বাড়ায় সরকার সেখান থেকে আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে কদিন ধরে জাতীয় গ্যাস-সাপ্লাই গ্রিডে এলএনজির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে, দিনে একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ২০১২ সালের আগে 'লোডশেডিং' শব্দটি খুব পরিচিত ছিল। এরপর তা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হয়। ২০১৮ সাল থেকে সরকার যেখানে লোডশেডিং শব্দের ব্যবহারই বন্ধ করে দেয়, সে জায়গায় বর্তমান পরিস্থিতিতে পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে লোডশেডিংয়ের জন্যে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।