প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২২, ০০:০০
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সংবাদ পেয়েও স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন কচুয়ার ডুমুরিয়া গ্রামের রিয়াদ হোসেন (২৩)। গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়া প্রান্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াদ উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি ফার্মে চাকুরি করতেন। বন্ধুদের সাথে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। তার স্ত্রী ও ২ বছরের পুত্র সন্তান গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়ায় থাকে।
নিহতের স্ত্রী জান্নাত আক্তার জানান, রোববার মধ্যরাতে আমার স্বামীর সাথে আমার শেষ কথা হয়। এ সময় রিয়াদ বলেছিলো, ‘আগামীকাল থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। তাই সে তার ক’জন বন্ধুসহ মোটরসাইকেলে চড়ে পদ্মা সেতু দেখতে যাচ্ছে। তারপর রাত ৩টার দিকে তার এক বন্ধু আমার শ্বশুরকে কল দিয়ে জানান, রিয়াদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এদিকে পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন নিহত রিয়াদের স্ত্রী জান্নাত আক্তার। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে ছেলেকে নিয়ে অকূল সাগরে পড়েন তিনি।
নিহত রিয়াদের পিতা দুলাল মিয়া জানান, দুর্ঘটনায় নিহত আমার ছেলে রিয়াদ হোসেনের লাশ ঢাকার মনোয়ারা হাসপাতালে আছে, এমন খবর পেয়ে মনোয়ারা হাসপাতালে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, রিয়াদ তার বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেলে করে পদ্মা সেতু দেখতে যায়। যাওয়ার পথে রিয়াদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে রেলিংয়ের সাথে ধাক্কা লেগে সে গুরুতর আহত হয়। এ সময় তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকার মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে রিয়াদের লাশ তার নিজ গ্রাম ডুমুরিয়ায় নিয়ে আসলে মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তানসহ স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ ভারী হয়ে উঠে। তার অকাল মৃত্যুতে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের মাঝে শোকের মাতম নেমে আসে। সোমবার বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে।