প্রকাশ : ২২ জুন ২০২২, ০০:০০
অপহরণের ৪ দিন পর ফরিদগঞ্জের স্কুলছাত্রীকে সাভার থেকে উদ্ধার
অপহরণকারী আটক
অপহরণের ৪ দিন পর ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে অপহৃত স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী শাওন হোসেন (২৫)কে আটক করেছে। মঙ্গলবার ২১ জুন বিকেলে এই বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ।
এর আগে হাজীগঞ্জ উপজেলার দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের বালিমুড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কাদেরের মেয়ে সামিয়া ইসলাম কাশপি (১৫) গত শুক্রবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণের শিকার হয়। এই ঘটনার পর ওই রাতেই শিক্ষার্থীর মা তিনজনকে আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এছাড়া সহপাঠীর খোঁজ ও উদ্ধার চেয়ে সোমবার ২০ জুন হাজীগঞ্জ উপজেলার দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।
প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ জানায়, সামিয়া ইসলাম কাশপি পাশ্ববর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলার দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার মুচিয়া বাড়ির আব্দুল হালিম খানের ছেলে শাওন হোসেন তাকে উত্যক্ত করতো। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়। সালিস বৈঠকে শাওন তার ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে আর উত্যক্ত করবে না বলে মুচলেকাও দেয়। কিন্তু গত ১৭ জুন শুক্রবার সকালে কাশপি প্রাইভেট পড়ার জন্যে বাড়ি থেকে বের হলে পথিমধ্যে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শাওন ও তার সহযোগীরা তাকে অপহরণ করে। এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতেই কাশপির মা শাহিন বেগম বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় শাওনকে প্রধান আসামী করে এবং তার সহযোগী একই এলাকার সফিউল্লার ছেলে বাহারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আরো জানায়, সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় শাওন একটি ভাড়া বাসায় গত ৪ দিন যাবত কাশপিকে আটকে রেখেছিল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) সোহেল মাহমুদ জানান, স্কুলছাত্রী অপহরণের অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ অভিযানে নামে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম তাদের তদন্তের একপর্যায়ে অপহরণকারীর অবস্থান চিহ্নিত করে। পরে থানার এসআই বরকতসহ তার টিম সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে অপহরণকারীকে আটক এবং অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরো বলেন, অপহরণকারীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ এবং ভিকটিমকে আদালতের মাধ্যমে তার অভিভাবকের কাছে তুলে দেয়া হয়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল মাহমুদ বলেন, ভিকটিমের জবানবন্দির উপর ভিত্তি করে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ হোসেন, তদন্ত অফিসার প্রদীপ মণ্ডল, এসআই বরকত, এসআই কুদ্দুস, প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামানসহ সাংবাদিকবৃন্দ।