বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২১, ০০:০০

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু

শাহরাস্তিতে ভর্তি ১২ জন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু
এএইচএম আহসান উল্লাহ ॥

চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতাল ছাড়াও অন্য সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ইউনিট চালু করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন করোনা রোগী ভর্তির মধ্য দিয়ে উপজেলাগুলোতে করোনা রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়ে গেলো। পর্যায়ক্রমে চাঁদপুরের সব উপজেলায় সহসা শুরু হচ্ছে করোনা রোগীর চিকিৎসা। জেলাবাসীর জন্যে এ সুখবরটি জানালেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ।

গতকাল শুক্রবার সরকারি জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে চাঁদপুরে করোনা চিকিৎসার অগ্রগতি বিষয়ে মিডিয়ার কাছে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু জানান, চাঁদপুরের সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে সরকারের। তখন জেলা সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে। যেহেতু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি চিকিৎসক রয়েছেন, অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও রয়েছে। যা বেসরকারি হাসপাতালে নাই বা বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি কোনো সহায়তা দেয়ার সুযোগও নেই। তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট করার চিন্তা করছে সরকার।

ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপুর এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহর কাছে। তিনিও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, চাঁদপুরে যখন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে লাগলো এবং আমাদের সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে জায়গা দেয়া যাচ্ছিল না, এমনকি সামনে আরো খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কা করে আমরা বিকল্প কোনো হাসপাতালের বিষয়টি ভাবছিলাম। কেউ কেউ বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালের প্রস্তাবও করেন। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে না। বিষয়টি নিয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে কথা বললাম। তখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলা হলো আমাদের যেহেতু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে, সেখানে ডাক্তারও আছে, তাই সেখানেই করোনা ডেডিকেটেড ইউনিট চালু করা যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে আমরা চাঁদপুরের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীর চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং শাহরাস্তি দিয়ে শুরুও হয়ে গেছে।

সিভিল সার্জন জানান, আমি বৃহস্পতিবার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিওদের সাথে এ বিষয়ে মিটিং করেছি। তাদেরকে তাদের হাসপাতালগুলোতে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো এবং প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীর চিকিৎসা চালু করার বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার জন্যে বলা হয়। আশাকরি সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়ে যাবে। পাশাপাশি এর সাথে আবশ্যকীয় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। কারণ, যারা করোনা ওয়ার্ডে ডিউটি করবেন তাঁদেরকে দশদিন পর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেখবে আশারাখি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়