প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২২, ০০:০০
৮ মাসে লক্ষ্যের ৩৭ শতাংশ বিতরণ : ক্ষুদ্রঋণে ধীরগতি দেখে হতাশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক
কোভিড-১৯ মহামারিতে আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) জন্য সরকার যে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল করেছে, সেই তহবিল থেকে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে ধীরগতি দেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হতাশা প্রকাশ করেছে ।
|আরো খবর
প্রণোদনার প্রথম ধাপে আট মাসে ঋণ বিতরণ হয়েছিল লক্ষ্যমাত্রার ৭৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৭ হাজার ১১৭ কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।
আর তাই সিএমএসএমই খাতের প্রণোদনার ঋণ দ্রুত বিতরণের মাধ্যমে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রণোদনার দ্বিতীয় ধাপে ১৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলোর বিতরণের হার ৪০ শতাংশের নিচে। এ ঋণ বিতরণ তদারকি আরও জোরদার করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে।
সিএমএসএমই ঋণ বিতরণ নিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের এমডিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিএমএসএমই আমাদের একটি অগ্রাধিকার খাত। কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট-বড় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য বেশকিছু প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে বড় ঋণের প্রণোদনা শতভাগ বিতরণ করা হলেও সিএমএসএমই খাতের ঋণ বিতরণে লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।
তিনি বলেন, এবার এ ঋণ বিতরণে অনেক পিছিয়ে আছে ব্যাংকগুলো। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো উপায়ে হোক ক্ষুদ্রঋণের শতভাগ লক্ষ্য অর্জন করতে বলা হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এমডি ও নির্বাহীদের বলা হয়েছে।
মুখপাত্র জানান, সিএমএসই খাতের উদ্যোক্তাদের সব ধরনের ঋণের বিপরীতে ক্রেডিট গ্যারান্টি চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ স্কিমের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। ওই নির্দেশনা যথাযথ পরিপালন করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) সহজীকরণ করতে বৈঠকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রোজায় প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, খেজুর, ফলমূল ও চিনি আমদানি অর্থায়নের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে এটিএম বুথে হ্যাকিং সংক্রান্ত একটি প্রেজেন্টেশন দেয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় র্যাবের পক্ষ থেকে হ্যাকিং প্রতিরোধে বেশ কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।