প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তিতে সারাদেশের মানুষকে শপথ পাঠ করাবেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী শপথ পাঠ করাবেন। আমরা চাঁদপুর স্টেডিয়াম ভেন্যু থেকে সকল শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষকে নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করবো। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, মসজিদের ইমাম ও জনপ্রতিনিধি অংশ নিবেন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে এবং হাজীগঞ্জ-কচুয়ার নির্বাচন নিয়ে আমরা প্রস্তুত।
তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের বিগত নির্বাচনে সবাই আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিগত নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমাদের সমন্বয়টা খুব ভাল ছিল। সামনে আমাদের আরও দুটি নির্বাচন। একটি হাজীগঞ্জ অপরটি কচুয়া উপজেলায়। এ নির্বাচনগুলোও যেনো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
গত ১২ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সারোয়ারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ বেলায়েত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাহাদাৎ হোসেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন আখন্দ সেলিম, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী প্রমুখ।
সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম লিপন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, এনএসআই উপ-পরিচালক শাহ মোঃ আরমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর কোস্টগার্ডের নবাগত স্টেশন কমান্ডার মাশয়াদ উদ্দিন নাহিয়ান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমানসহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তিতে সারাদেশের মানুষকে শপথ পাঠ করাবেন। ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী ওই শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। দেশের বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম এবং বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করবেন। তবে কী ধরনের শপথ পাঠ করাবেন তা জানা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শপথ অনুষ্ঠানের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শপথ অনুষ্ঠান আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিকেল ৪টায় সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এই শপথে অংশ নেবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে অবিলম্বে বিস্তারিত গাইডলাইন পাঠাবে।