শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১০:০৩

মানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখালেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল

শিশুর হার্ট ছিদ্রের চিকিৎসায় ১ লাখ টাকা অনুদান

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
শিশুর হার্ট ছিদ্রের চিকিৎসায় ১ লাখ টাকা অনুদান

অসহায় এক পরিবারের শিশুর হার্টের হৃৎপি- ফুটোর চিকিৎসার জন্যে নিজ তহবিল থেকে ১ লাখ টাকা সহায়তা করলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। তাঁর এ মানবিক সহায়তা ও উদারতায় শিশু ইয়ামিন গাজী (৬) অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে পৃথিবীর আলো দেখার স্বপ্ন দেখছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) শেষ বিকেলে মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল পৌরসভার কার্যালয়ে জন্ম থেকে হৃৎপি- ফুটো হওয়া শিশু ইয়ামিনের পিতা মোঃ আলমগীর হোসেন গাজীর হাতে নগদ ১ লাখ টাকা সহায়তা হিসেবে তুলে দেন। এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝিসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে শিশু ইয়ামিন গাজী ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সোমায়রা নাসরিনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসক বলেছেন শিশুটির চিকিৎসা (অপারেশন) করাতে ৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

মেয়রের এ মানবিক উদারতায় সকলের কাছে তিনি প্রশংসার দাবিদার হয়েছেন। শিশু ইয়ামিন চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার ২নং ওয়ার্ডের ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী আলমগীর গাজী ও শাহনাজ বেগমের সন্তান। সে জন্মলগ্ন থেকে দীর্ঘ ছয় বছর হার্টের ছিদ্রের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্ট ভোগ করে যাচ্ছে।

ইয়ামিনের গরিব পিতা আলমগীর গাজী জানান, আমার ছেলে জন্মের পর থেকে হার্টের হৃৎপি- ফুটোর কারণে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী যা অর্থ ছিলো তা দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও তাকে সুস্থ করতে পারিনি। ঢাকা পপুলার হাসপাতাল ও হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাকের পরামর্শে চিকিৎসা চালিয়ে যাই। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ইয়ামিনের হৃৎপি- ফুটোর অপারেশন করতে কয়েক লাখ টাকা লাগবে। তাই সমাজের অনেক বিত্তবানের কাছে গিয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছি। কেউ সহায়তায় এগিয়ে আসেনি।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শিশু কার্ডিওলজী বিভাগের চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সোমায়রা নাসরিন তার ছেলের হার্ট ছিদ্রের চিকিৎসা করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেছেন আগামী ২২ ডিসেম্বর শিশু ইয়ামিনকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্যে। শিশুর চিকিৎসায় আড়াই লাখ টাকা ব্যয় হবে।

২২ ডিসেম্বর ভর্তি করলে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে ২৬ ডিসেম্বর হার্ট ছিদ্রের চিকিৎসার জন্যে অপারেশন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়