প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫, ০১:২১
বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়া: ৬ মে ঢাকায়, নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বিমানবন্দর
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা একদিন পিছিয়ে, ফিরছেন ৬ মে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

|আরো খবর
দেশে ফেরা পিছিয়ে, নতুন তারিখ ৬ মে
বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার তারিখ একদিন পিছিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার, ৬ মে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি ঢাকা পৌঁছাবেন বলে নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া উইং।
শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান। এর আগে বলা হয়েছিল, ৫ মে খালেদা জিয়া ঢাকায় ফিরবেন।
বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তব্য
শায়রুল কবির খান বলেন,
“চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্দেশে আমি নিশ্চিত করছি—
কাতারের আমির প্রদত্ত বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সোমবার (৫ মে) লন্ডন থেকে চেয়ারপারসনকে নিয়ে রওনা দেবে এবং তিনি মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় পৌঁছাবেন। নির্দিষ্ট সময় পরে জানানো হবে।”
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন,
“ইনশাআল্লাহ ম্যাডাম আগামী ৫ তারিখ সকালে দেশে ফিরছেন। আমাদের যতদূর জানা, তাঁর সঙ্গে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান আসবেন।”
চিকিৎসার দীর্ঘ অধ্যায়
গত ৮ জানুয়ারি, উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডন যান বেগম খালেদা জিয়া। রাতেই ভর্তি হন London Clinic-এ। সেখানে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস-এর তত্ত্বাবধানে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পরবর্তীতে ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি লন্ডনে তারেক রহমানের বাসভবনে চিকিৎসাধীন থাকেন। এই দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে অবশেষে তিনি দেশে ফিরছেন।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রত্যাবর্তন
বিএনপি নেত্রীর দেশে ফেরাকে ঘিরে দলের অভ্যন্তরে নতুন উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তাঁর প্রত্যাবর্তন বিএনপির আন্দোলনে নতুন গতি আনবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন,
“বেগম জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়তে পারে। বিশেষ করে একতরফা নির্বাচনের পর এটি বিএনপির জন্য বড় মনোবল বৃদ্ধির উৎস হতে পারে।”
নিরাপত্তা জোরদার
বিমানবন্দর ও গুলশান এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
শেষ কথা
দেশে ফেরার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলেও বেগম খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিয়ে দলীয়ভাবে এখনো আলোচনা চলছে।
তাঁর প্রত্যাবর্তন শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে।ডিসিকে/ এমজেডএইচ