প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২১
নৌকা আওয়ামীগের মার্কা, অন্য মার্কা নয় : মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
আপনারা নৌকায় ভোট দিবেন। নৌকা আওয়ামীলীগের মার্কা।আওয়ামীলীগের অন্য কোন মার্কা হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীকে ফের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারী
|আরো খবর
বিকেলে চাঁদপুর ৫ নির্বাচনি আসনে হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ মাঠে বিশাল জনসভায় এসব কথা বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ১ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি।
হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাহবুব উল আলম লিপনের সভাপ্রধানে মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম আরো বলেন, জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা আমাকে একবার দুই বার নয় ৬ষ্ঠ বারের মতো নৌকা প্রতীক দিয়েছেন।
এর আগে ৫ বার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ৪ বার আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছন। এবারে ও আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, আমি আমার নির্বাচনি এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর উপর ৮ টি ব্রীজ করেছি, যা দেশের অন্য কোন নির্বাচনী এলাকায় পাওয়া যাবেনা। শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নের মধ্যে প্রায় ৭’শ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ করেছি, প্রায় ৭’শ ব্রীজ-কালর্ভাট ও প্রায় ৬’শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মান করেছি। যৎ সামান্য কিছু কাজ ছাড়া সকল উন্নয়ন করা হয়েছে। যারা আবেদন করেছে তাদের সব ভূমিহীনদেরকে ভূমিসহ পাকা ঘর দেয়া হয়েছে। ডাকাতিয়াকে আমরা খনন করেছি। বিদ্যালয়ে আসার জন্য গরীব দুস্থ শত শত শিক্ষাথর্থীর মাঝে বাইসাইকেল দেয়া হয়েছে।
উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে, মেজর রফিক আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা জানে আমার কারণে বাজারে চাঁদাবাজি হয়না। সাধারণ মানুষ জানে, আমি আছি বলেই সন্ত্রাসীরা বেশি লাফালাফি করতে পারে না। তারা চাচ্ছে, আমাকে সরিয়ে এই এলাকায় দখলে নিয়ে আপনাদেরকে জিম্মি করবে। সেটা হতে দিবেন না। কোন সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজী এখানে চলতে দিবোনা। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে ওইসব শয়তানের রাস্তা আমরা বন্ধ করে দিবো। আমি কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজকে আশ্রয় দেই না। সেজন্যই তারা একসাথ হয়েছে।
এসময় নিন্দা জানিয়ে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি বলেন, আমি শুনেছি প্রয়াত দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রব সর্ম্পকে তারা কিছু কটুক্তি করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। রব সাহেব আমাদের শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি। তিনি হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তির গৌরব ছিলেন। ওইসব ব্যক্তিদের যারা কটুক্তি করে, তারা নিন্ম পরিবারের। তারা ভালো মানুষ নয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনে জনসভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন মাজিদ থেকে তেলওয়াত করেন, হাফেজ মো. নাদিম। এরপর পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনের স্বাগত বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খালেদুর রব মিঠু। এ সময় বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদ, আবু তাহের, ফরহাদ হোসেন রতনসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন মজুমদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইকবালুজ্জামান ফারুক, আলহাজ্ব সেলিম মিয়া, অধ্যাপক স্বপন কুমার পাল, অধ্যাপক মো. সেলিম, আলহাজ্ব সৈয়দ আহাম্মদ খসরু, হুমায়ুন কবির লিটন, রোটা. এস.এম মানিকসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম গাজী, যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা ফরিদুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বিসহ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।