প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৫৭
যাত্রী সংকটে চাঁদপুর ঢাকা রুটে অনেক লঞ্চই এখন চলছে না
যাত্রী সংকটের কারণে চাঁদপুর -ঢাকা নৌ রুটে এখন সিডিউল মোতাবেক সবগুলো লঞ্চ চলছে না। প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে লঞ্চ চলাচল। বড় বড় লঞ্চগুলো চলাচল প্রায় বন্ধ রেখেছে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ। চলতি রমজান মাসের শুরু থেকে যাত্রী আকাল পড়েছে বলে লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়।
|আরো খবর
সোনারতরী বড়টা, ঈগল ৩, রহমত, রায়হান ১, আবে জমজম -৭, রফ রফ,রফরফ -২,বোগদাদীয়া ৭, অ্যাডভেঞ্চার ও ময়ূর-৭ এর মত লঞ্চগুলোর চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সকাল ৮ টায় ঈগল- ৭ একদিন আগেও চাঁদপুর থেকে ছেড়ে গেছে।গতকাল মঙ্গলবার সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে।সন্ধ্যার ইমাম হাসান দুইটি লঞ্চের মধ্যে চলছে একটি। লঞ্চ মালিক আর কত লোকসান দেবে। লঞ্চ চালিয়ে জ্বালানি তেলের খরচ পোষছে না। তাই ঢাকা- চাঁদপুর রুটের অর্ধেক লঞ্চই এখন চলছে না। এমন কথা বলছেন চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটের একাধিক ঘাট সুপারভাইজার।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ,চাঁদপুর লঞ্চঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম জানান,সিডিউল মোতাবেক এ রুটে ২৫টি লঞ্চ চলাচল করতো।রোজার শুরু থেকে যাত্রী খুবই কম হচ্ছে। তাই লোকসানের কারণে বড় বড় লঞ্চ গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা লসের মধ্যে আছে। তাই বেশিরভাগ লঞ্চই এখন চলছে না। তিনি বলেন,যাত্রীর চাপ না থাকায় এখন ছোট আকারে ১১/১২ টি লঞ্চ চলাচল করলেও ঈদের আগে সবগুলো লঞ্চই চলবে।
এদিকে যাত্রী কমে যাওয়ায় বিপাকে পরেছে লঞ্চ টার্মিনাল সংশ্লিষ্ট অটোবাইক, সিএনজি চালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ঘাটে দিনমজুরের কাজ করা ব্যক্তিরা।লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখায় লঞ্চের স্টাফরাও এখন বেকার।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। যেই সময় ঢাকাগামী যাত্রীদের ভীরে মুখরিত থাকে পুরো ঘাট এলাকা।সেখানে ঘাটে যাত্রীদের আনাগোনা খুবই কম, আগের মত লঞ্চে যাত্রী উঠানোর হাঁকডাক নেই। রফরফ লঞ্চের চাঁদপুর ঘাট ম্যানেজার মো. ইউসুফ আলী বলেন, চাঁদপুর থেকে ঢাকা যেতে আমাদের লাষ্ট ট্রিপে ৬০ জন ডেক যাত্রী হয়েছে। আর কেবিন ভাড়া হয়েছে ২/৩ টি। এতে বর্তমানে প্রতিবার ঢাকা আসা যাওয়ায় লঞ্চ মালিকের মোটা অংকের লোকশান গুনতে হয়। তাই এ রুটে তাদের ২টি লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।